১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কথা ছিল গ্রামে। সে জন্য এলাকার তৃণমূল নেতাকে টাকাও দিতে হয়েছিল বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। কিন্তু ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে নয়, কংক্রিটের রাস্তা বানিয়েছে ঠিকাদার। তাই ধনেখালির গুড়াপ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে ক’দিন ধরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গ্রামবাসী। এই বিক্ষোভের জেরে শুক্রবার মোট ১১২ জন গ্রামবাসীকে ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৭৫ টাকা ফেরত দিলেন ওই তৃণমূল নেতা। তবে, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তিনি মানেননি।
আব্দুলের দাবি, ‘‘গ্রামবাসী কংক্রিটের রাস্তা তৈরির দাবি করেছিলেন। সেই কাজে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্যই ঠিকাদার সংস্থাকে ডাকা হয়। আমি কারও থেকে টাকা নিইনি। কিন্তু রাস্তা হতেই গ্রামবাসীরা কাটমানির কথা বলছেন। কাজ না-পাওয়ার অভিযোগ উঠছে। আমি গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে ঠিকাদারের থেকে টাকা চেয়ে ওদের দিয়ে দিয়েছি।’’ কিন্তু ঠিকাদার কেন তাঁর প্রাপ্য টাকা তাঁকে দিতে যাবেন, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি ওই তৃণমূল নেতা। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে পরিকল্পনার পরেও কেন রাস্তাটি সেই প্রকল্পে হল না তা নিয়ে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ হানিফ কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপি নানা ভাবে জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে।’’ বিজেপি-র জেলা সদর মণ্ডল সভাপতি সুবীর নাগ অবশ্য বলেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা যে ভাবে তৃণমূল লুট করছে, তার তুলনায় এই টাকা খুবই সামান্য। টাকা ফেরতের দাবিতে আমরা ধনেখালিতে ফের পথে নামব।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন আগেই ওই রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা হয়। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ৯২ জন জবকার্ডধারী শ্রমিকের নাম মাস্টার-রোলে ওঠে বলেও পঞ্চায়েতের একটি সূত্রের দাবি। তখনই তৃণমূল নেতা আব্দুল গ্রামবাসীদের থেকে টাকা নেন বলে অভিযোগ। উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অজিত মানা বলেন, ‘‘রাস্তার কাজের মজুরি বাবদ আমাকে চার হাজার টাকা দিতে হয়েছিল। এতদিনে সেই টাকা ফেরত পেলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy