Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দুষ্কৃতীকে বাগে আনতে থানায় তৃণমূল নেতা

পুলিশের বক্তব্য, তারাপুকুরে ওই সমস্ত ঘটনার ব্যাপারে থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এমন তথ্যও পুলিশের কাছে নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৫৩
Share: Save:

দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি নিয়ে থানায় হাজির শাসক দলের নেতা।

শনিবার সকালে শ্রীরামপুর শহর যুব তৃণমূল সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান ইন-কাউন্সিল উত্তম রায় শ্রীরামপুর থানায় গিয়ে ওই দাবি জানান। শহরের তারাপুকুর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এলাকারই এক সমাজবিরোধীর দলবল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, দিন দু’য়েক আগে ওই দুষ্কৃতীর এক শাগরেদ এলাকার একটি মাঠের সামনে এক যুবককে মারধর করে এবং আগ্নেয়াস্ত্র দেখায় বলে অভিযোগ। প্রহৃত যুবক এক সময় ওই দুষ্কৃতীর দলে নাম লিখিয়েছিল। বেশ কিছু দিন ধরে সে অবশ্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। শুক্রবার ফের ওই দুষ্কৃতীর শাগরেদ অন্য এক যুবককে ধাক্কাধাক্কি করে এবং শাসানি দেয় বলে অভিযোগ। ওই দুষ্কৃতীও তাঁকে ফোন করে ‘সমঝে’ দেয় বলে অভিযোগ।

ঘটনার কথা জানাজানি হতেই কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এবং এলাকাবাসী ওই দুষ্কৃতীর বাড়িতে গিয়ে ক্ষোভের কথা জানান। উত্তমবাবুও ঘটনাস্থলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। শনিবার সকালে উত্তমবাবু-সহ কয়েক জন শ্রীরামপুর থানায় গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে উত্তমবাবু বলেন, ‘‘এক জন দুষ্কৃতী এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে। পুলিশ-প্রশাসন বিষয়টি দেখুক। সাধারণ মানুষ যেন পথে বেরোতে ভয় না পান।’’ তাঁর দাবি, শুক্রবারের ঘটনায় প্রহৃত যুবক দলীয় কর্মী।

গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি চন্দননগর কমিশনারেটের এসিপি কামনাশিস সেন এবং থানার আইসি নন্দদুলাল ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে উত্তমবাবু জানান। সাধারণ মানুষের একাংশের বক্তব্য, বহিরাগত কিছু ছেলে এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে শাসকদলের নেতাদের একাংশের যোগসাজশ আছে বলেও অভিযোগ ওঠে।

পুলিশের বক্তব্য, তারাপুকুরে ওই সমস্ত ঘটনার ব্যাপারে থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এমন তথ্যও পুলিশের কাছে নেই। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশ রেয়াত করবে না। সার্বিক ভাবেই দুষ্কৃতীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে।

কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, তারাপুকুর এবং সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ নিয়মিত টহল দেয়। প্রয়োজনে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। সাধারণ মানুষের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tmc Serampore police station protest crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE