প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে গোলমাল হতে পারে আশঙ্কা করে আগে ভাগে বিশেষ তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। গত সাত দিন ধরে পুরশুড়ায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে সেই বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার ঘোলদিগরুইতে ১৫টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। সোমবার রাতে ওই এলাকারই এক তৃণমূলের যুবনেতা গ্রেফতার হলেন ৫টি তাজা বোমা এবং একটি পিস্তল-সহ।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম শেখ ফরিদ আলি ওরফে টিঙ্কু। স্থানীয় ভুঁয়েরা গ্রামে আগ্নেয়াস্ত্র জমায়েত করার সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে ধরা হয়। মঙ্গলবার ধৃতকে আরামবাগ আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরশুড়ার ৮টি পঞ্চায়েত এলাকার কোথাও বিরোধী প্রার্থী নেই। নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে তৃণমূলেরই কিছু বিক্ষুব্ধ নির্দল হিসাবে ভোটে ল়ড়েছিলেন। জিতেছেন অনেকে নির্দল হিসাবেই। তা নিয়ে অশান্তি ছিল ভোটের আগে থেকেই। এখন আবার নতুন করে সংঘাত হচ্ছে পঞ্চায়েত পদ নিয়ে। বিশেষত প্রধান, উপপ্রধান এবং সঞ্চালক পদটির দাবিদার একাধিক সদস্য। এই তিনটি পদ নিয়ে আকচা-আকচির জেরে পুরশুড়ার আটটি পঞ্চায়েত এলাকায় বোমা-বারুদের রমরমা চলছে বলে অভিযোগ।
আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দলের যুব নেতার গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, “দল না দেখে এলাকায় যে কোনও অশান্তি কড়া হাতে দমন করতে বলা হয়েছে পুলিশকে। আইন আইনের পথে চলবে।”
দলের একটা অংশের অভিযোগ, শ্যামপুর পঞ্চায়েত এলাকার ঘোলদিগরুই গ্রামের টিঙ্কু এক বছর আগেও ছিলেন ব্লক তৃণমূল যুব দলের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি মূল দলে চলে যান। তাঁর স্ত্রী হানুফা বেগম ২৩ নম্বর বুথ থেকে টিকিট পান। এ বার হানুফাকে প্রধান করতে উঠেপড়ে লেগেছেন টিঙ্কু। সে উদ্দেশ্যেই এই অস্ত্র সংগ্রহ। দলের একাংশ মনে করছেন, বোর্ড গঠনে অশান্তি এড়াতে টিঙ্কুকে গ্রেফতারি করা প্রয়োজন ছিল।
টিঙ্কুর অনুগামীদের বক্তব্য, “অযোগ্য লোকদের পঞ্চায়েতের পদ বসাতে আপত্তি তোলেন টিঙ্কু। তাতেই তাঁকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে
দলেরই একাংশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy