Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কাটা ফল, রঙিন জল অবাধে বিক্রি হাওড়ায়

গরম পড়তেই অবাধে কাটা ফল বিক্রি শুরু হয়েছে হাওড়া পুরসভা এলাকায়। অভিযোগও পৌঁছেছে পুরকর্তাদের কাছে। কিন্তু সামনে ভোট।

অস্বাস্থ্যকর: বিক্রির জন্য কেটে রাখা হয়েছে ফল। মঙ্গলবার, হাওড়ার সন্ধ্যাবাজারে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

অস্বাস্থ্যকর: বিক্রির জন্য কেটে রাখা হয়েছে ফল। মঙ্গলবার, হাওড়ার সন্ধ্যাবাজারে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

কাটা ফল, না বিষ!

এ নিয়ে প্রচার চালানো হয়েছে বিস্তর। কিন্তু তার পরেও কাটা ফলের বিপদ নিয়ে হুঁশ ফেরেনি প্রশাসন, বিক্রেতা বা সাধারণ মানুষ— কোনও পক্ষেরই। পাশাপাশি বিকোচ্ছে রঙিন জল ও শরবতও।

গরম পড়তেই অবাধে কাটা ফল বিক্রি শুরু হয়েছে হাওড়া পুরসভা এলাকায়। অভিযোগও পৌঁছেছে পুরকর্তাদের কাছে। কিন্তু সামনে ভোট। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৬ মে ভোটগ্রহণ পর্ব মেটার পরেই হাওড়া জুড়ে শুরু হবে কাটা ফল, অস্বাস্থ্যকর পানীয় জল, নানা ধরনের রঙিন শরবত এবং অজস্র রেস্তরাঁ ও স্টলের খাবারের গুণমান যাচাইয়ের অভিযান।

নেতৃত্বে থাকবে হাওড়া পুরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেই অভিযানে পুরসভার তরফে থাকবেন এক জন খাদ্য-সুরক্ষা অফিসারও।

হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরে দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা ছিল খাদ্য-সুরক্ষা অফিসারের পদ। সম্প্রতি সেই পদে স্থায়ী ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। আগে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তৎকালীন মেয়র পারিষদ ভাস্কর ভট্টাচার্যের উদ্যোগে বছরে দু’-এক বার এই অভিযান হলেও সঙ্গে কোনও খাদ্য-সুরক্ষা অফিসার থাকতেন না। এ বার সিদ্ধান্ত হয়েছে, খাদ্যের গুণমান বিচার করতে লোকসভা নির্বাচনের পরে টানা এক মাস হাওড়া জুড়ে এই অভিযান চালানো হবে।

কাটা ফল খেলে পেটের গোলমাল থেকে শুরু করে শরীরে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। সেই কারণেই কাটা ফল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্রেফ প্রশাসনের নজরদারির অভাবে জি টি রোডের আশপাশে অবাধে কাটা ফল বিক্রি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার হাওড়া পুরসভার কমিশনার তথা প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণ জানান, খাদ্য-সুরক্ষা অফিসারের পদটি বেশ কয়েক বছর ধরে ফাঁকা ছিল। সেই কারণে হাওড়া পুরসভা এলাকায় খাদ্য পরীক্ষার কাজ করা যেত না।

পুর কমিশনার বলেন, ‘‘সামনের মাস থেকে হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় শহরে কাটা ফলের পাশাপাশি রাস্তায় বিক্রি হওয়া খাবার ও পানীয় জলের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে। নমুনা পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পুর কমিশনার জানান, হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু হবে ভোটের পরেই।

হাওড়া পুর এলাকায় রয়েছে শতাধিক হোটেল ও রেস্তরাঁ। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই সমস্ত দোকান বেশি মুনাফার লোভে খাবারে ক্ষতিকারক বিভিন্ন রকম রাসায়নিক ব্যবহার করছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। ভোজ্য তেলও ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্ন মানের। এ সবেরই নমুনা স্বাস্থ্য দফতরের দলটি সংগ্রহ করবে। এর পাশাপাশি, গ্রীষ্মে বহু জায়গায় রং মেশানো রঙিন শরবত বিক্রি হয়। সেই শরবত খেতে ভিড় জমান মানুষ। ওই শরবতের নমুনাও সংগ্রহ করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health Medical Howrah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE