Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

হাওড়ার জলসায় ‘তাণ্ডব’, প্রশ্নে পুলিশের ভূমিকা

রাতের জলসায় মঞ্চ ভেঙে দেওয়া এবং দর্শকদের মারধর করার অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় আক্রান্ত হলেন মহিলা ও শিশুরা।

 লন্ডভন্ড: জলসার মাঠে ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙা চেয়ার। শুক্রবার রাতে। নিজস্ব চিত্র

লন্ডভন্ড: জলসার মাঠে ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙা চেয়ার। শুক্রবার রাতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৯ ০২:৩৯
Share: Save:

রাতের জলসায় মঞ্চ ভেঙে দেওয়া এবং দর্শকদের মারধর করার অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় আক্রান্ত হলেন মহিলা ও শিশুরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার, হাওড়ার নাজিরগঞ্জের বকুলতলায়।
ইদের পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় পাড়ায় জলসার আয়োজন করেছিলেন বকুলতলার বাসিন্দারা। রাতে যখন পাড়ার শিশুরা নাটক মঞ্চস্থ করছিল, সে সময়ে হঠাৎই সেখানে হাজির হয় একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, প্রথমে বড় বড় ইট ছুড়তে থাকে তারা। এর পরেই শুরু করে ভাঙচুর। মাইক বন্ধ করতে লাউডস্পিকার-সহ অন্যান্য সরঞ্জাম ভেঙে দেয়। সাউন্ড বক্স এবং দর্শকদের চেয়ার ভাঙচুর করারও অভিযোগ ওঠে। সংগঠকেরা বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে। যে শিশু অভিনেতারা মঞ্চে ছিল তাদেরও আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা।
জলসার জন্য আগে থেকেই পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু হামলা চলাকালীন পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ। এমনকি সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে দুষ্কৃতীদের কার্যত পালিয়ে যেতে সাহায্য করার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শামসের খানের দাবি, ‘‘নাজিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। থানা অভিযোগ নেয়নি। বলেছিল, নিজেদের মধ্যে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিন।’’
কেন এই আক্রমণ? জলসার সংগঠক শেখ সরাবুদ্দিন খান জানান, জলসা চলার সময়ে স্থানীয় কয়েক জন ছেলে মত্ত অবস্থায় এসে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছিল। তখন পাড়ার লোকই তাদের বার করে দেন। এর পরে রাত বাড়লে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী হাতে বাঁশ নিয়ে ঢুকে পড়ে জলসায়। প্রথমে মঞ্চ লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইট ছুড়তে শুরু করে। পরে বাঁশ নিয়ে দর্শকদের দিকে তেড়ে যায়। তত ক্ষণে আতঙ্কে দর্শকেরা দৌড়োদৌড়ি শুরু করে দিয়েছেন। শেষে বেশি সংখ্যক স্থানীয় বাসিন্দা বেরিয়ে এলে আক্রমণকারীরা পালায়। সরাবুদ্দিন বলেন, ‘‘ইটের আঘাতে লাইটম্যানের মাথায় তিনটি সেলাই করতে হয়েছে। মহিলারাও মার খেয়েছে। পুলিশ তখন দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।’’
শুক্রবার রাতের জলসায় দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালালেও শনিবার বিকাল পর্যন্ত বিষয়টি জানতেন না বলে দাবি করলেন হাওড়ার গ্রামীণ পুলিশ সুপার সৌম্য রায়। তিনি বলেন, ‘‘আমি তো কিছুই জানি না! খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Violence West Bengal Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE