গ্রামোন্নয়ের কাজে গতি আনতে এবং ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সরাসরি করতে আমতা-২ ব্লকের সব পঞ্চায়েতে ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থা চালু করতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। ফলে, জরুরি কোনও সভা বা আলোচনা এ বার থেকে ওই ব্যবস্থার মাধ্যমেই সেরে ফেলতে পারবেন ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতের কর্তারা। ইতিমধ্যে গত শুক্রবার ঝামটিয়া পঞ্চায়েতে এই ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে। যে ব্যবস্থা সাধারণত জেলা বা রাজ্য স্তরে থাকে, সেই ব্যবস্থা পঞ্চায়েত স্তরে চালু হতে যাচ্ছে দেখে খুশি প্রধানেরাও।
বিডিও ইন্দ্র নস্কর এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিঠু বারুই বলেন, ‘‘শুক্রবার ঝামটিয়া পঞ্চায়েতে ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থা চালুর পরে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে। শীঘ্রই ব্লকের সব পঞ্চায়েতেই এই ব্যবস্থা চালু হবে।’’ ঝামটিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান আরজিনা বেগম বলেন, ‘‘বেশ ভাল ব্যবস্থা। যে কোনও বিষয়ে বিডিও বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সঙ্গে জরুরি আলোচনা অনেক সহজ হল। এখন আর ওই অফিসে না গিয়েও কাজ করা যাবে।’’
এই ব্যবস্থা ওই ব্লকে চালু হওয়ার পরে অন্যত্রও চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম নিয়োগী (ই-গভর্ন্যান্স)। তিনি বলেন, ‘‘খুবই ভাল ব্যবস্থা। আমতা-২ ব্লক এটা চালু করেছে। মাস খানেক পরে এটা কতটা সফল হচ্ছে, দেখে নিয়ে প্রয়োজনে জেলার অন্য পঞ্চায়েতেও এই ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করব।’’
ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, ভাটোরা, ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান, কাশমলি-সহ বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের সঙ্গে ব্লক প্রশাসনের যোগাযোগে খুবই সমস্যা হয়। ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান ও ভাটোরা পঞ্চায়েত থেকে ব্লক অফিসে পৌঁছতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে। পঞ্চায়েতের কর্মী-সদস্য বা আধিকারিকদের হাঁটাপথ পেরিয়ে কল্যাণপুর হয়ে জয়পুরে আসতে হয়। প্রশাসনের কর্তারাও কয়েকবার সেখানে যেতে সমস্যায় পড়েছিলেন। তার পরেই প্রশাসনের কর্তারা এই ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম পর্যায়ে ভাটোরা, ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান, ঝামটিয়া, থলিয়া, খালনা, ঝিখিরা, কুশবেড়িয়া ও বিনোলা-কৃষ্ণবাটি পঞ্চায়েতে ‘স্কাইপ’-এর মাধ্যমে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। বাকি জয়পুর, আমরাগড়ি, গাজিপুর, তাজপুর, কাশমলি ও নওপাড়া পঞ্চায়েতে পরবর্তী পর্যায়ে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
নতুন ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে খুশি ভাটোরার প্রধান অর্ধেন্দু আলু এবং কাশমলির প্রধান তরুণ দলুইও। তাঁরা বলেন, ‘‘আমাদের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী ব্যবস্থা। ব্লকের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে যোগাযোগে সুবিধা হবে। বন্যার সময় এই ব্যবস্থা খুব কাজ দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy