ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরি হয়ে গিয়েছিল ২০০৮ সালে। কিন্তু হাওড়া পুরসভার সংযুক্ত এলাকার ছ’টি ওয়ার্ডে পাইপ বসানো শেষ না হওয়ায় গত এক দশকে সেখানে পানীয় জল পৌঁছয়নি। চলতি বছরের মার্চে হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে ওই ওয়ার্ডগুলিতে পানীয় জল সরবরাহ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সোমবার একটি ওয়ার্ড বাদে বাকি পাঁচটি ওয়ার্ডে পানীয় জল পৌঁছনোর জন্য ভূগর্ভস্থ জলাধারের উদ্বোধন করলেন মেয়র রথীন চক্রবর্তী।
হাওড়া পুরসভার সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলিতে জলসঙ্কট দীর্ঘ দিনের। সমস্যা সমাধানের জন্য বাম আমলে ছ’টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য দাশনগর ও গরফায় তৈরি হয় দু’টি ভূগর্ভস্থ জলাধার। কিছুটা পাইপ পাতা হয়। কিন্তু তার পরে কাজ এগোয়নি। পদ্মপুকুর প্রকল্পে যে পরিমাণ জল উৎপাদন হত, তা দিয়ে ওই ওয়ার্ডগুলির চাহিদা পূরণ করা যেত না।
হাওড়া পুরসভার দাবি, তারা ক্ষমতায় আসার পরে পদ্মপুকুর জলপ্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হয়। প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ৬ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈকত চৌধুরী জানান, আগে যেখানে পদ্মপুকুরে সারা দিনে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ গ্যালন জল উৎপাদন হত, তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ কোটি ৮০ লক্ষ গ্যালনে। সৈকতবাবু বলেন, ‘‘বর্তমানে সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলিতে জল পৌঁছে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এসেছে। দাশনগরে জলাধারের সঙ্গে পদ্মপুকুর প্রকল্পের পাইপলাইন সংযোগের কাজও শেষ।’’
পুরসভা সূত্রে খবর, গরফার জলাধার থেকে মূলত ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে জল সরবরাহ হবে। কিন্তু পাইপ বসানোর কাজ শেষ না হওয়ায় এবং পদ্মপুকুর জলাধারের সঙ্গে সংযোগ বাকি থাকায় এই মুহূর্তে ওই ওয়ার্ডে সরবরাহ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত কাজ শেষের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মেয়র বলেন, ‘‘কিছু জায়গায় পাইপ বসানো বাকি। সেই কাজ হয়ে গেলে এবং পদ্মপুকুর প্রকল্পের ভিতরে যে ১ কোটি গ্যালনের জলপ্রকল্প হচ্ছে তা শেষ হলে হাওড়ায় পানীয় জলের সমস্যা থাকবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy