বাধা: জট এই উড়ালপুল নিয়েই। ফাইল ছবি
ছ’ঘণ্টা, নাকি ১০ ঘণ্টা! নতুন করে জটিলতা দেখা দিল উলুবেড়িয়া রেল উড়ালপুলের কাজ শেষ করার সময়সীমা নিয়ে।
মাসতিনেক আগে রেল এবং রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে ঠিক করেছিল, রেলের অংশে ঢালাই করার জন্য ৬ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখলেই চলবে। সেইমতো কবে ট্রেন বন্ধ রাখা হবে সে বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ সূচি তৈরি করছিলেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি নয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে ৬ ঘণ্টা নয়, ১০ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হবে ট্রেন চলাচল। এই নয়া প্রস্তাব নিয়ে আগামী ২২ নভেম্বর ফের রেল এবং রাজ্য পূর্ত (সড়ক) দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা বৈঠকে বসবেন।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর ডিভিশন সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে রেলের পক্ষ থেকে বলা হবে ১০ ঘণ্টা নয়, ৬ ঘণ্টাই ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখলেই হবে। ওই সময়সীমায় কী ভাবে রেলের অংশে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা যায় সে বিষয়টি পূর্ত (সড়ক) দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের রেলের ইঞ্জিনিয়াররা বুঝিয়েও দেবেন। পক্ষান্তরে, রাজ্য পূর্ত (সড়ক) দফতরের এক আধিকারিক জানান, ঢালাইয়ের কাজে তাঁদের ৬ ঘণ্টা সময়ই লাগবে। বাকি চার ঘণ্টা তো রেলেরই লাগবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা-সহ অন্যান্য কাজ করতে। সেই হিসাব ধরেই তাঁরা ১০ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘আগামী সপ্তাহে উভয় পক্ষের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা। আশা করা যায় সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে।’’ একই দাবি করেন পূর্ত (সড়ক) দফতরের আধিকারিকরাও।
উড়ালপুলটির কাজ শেষ না-হওয়ায় উলুবেড়িয়া লেভেল ক্রসিং-এ নিত্য যানজট লেগে থাকে। লেভেল ক্রসিং পার হয়ে মহকুমাশাসকের অফিস, মহকুমা হাসপাতাল, নার্সিংহোম, আদালতে যাতায়াত করেন হাজার হাজার মানুষ। রোজ কয়েক হাজার গাড়ি লেভেল ক্রসিং পারাপার করে। ট্রেন চলাচলের জন্য দীর্ঘক্ষণ লেভেল ক্রসিং-এর গেট ফেলে রাখতে হয়। ফলে, দু’দিকে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে। আবার গাড়ি ছাড়া হলে ট্রেন আটকে যায়। সব মিলিয়ে প্রাণান্তকর অবস্থা হয় রেলযাত্রী এবং গাড়ির যাত্রীদের। সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই রেল ও রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে এখানে উড়ালপুল তৈরি করছে। খরচ হচ্ছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। মাত্র দু’বছরের মধ্যে বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি আছে শুধুমাত্র রেলের অংশটুকু জোড়ার কাজ। আর তা নিয়েই টানাপড়েন চলছে রেলের সঙ্গে রাজ্য সরকারের।
সমস্যার যে আশু সমাধান নেই তা স্পষ্ট করে দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, আগে ঠিক হোক কতক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। তারপরে কাজ শেষ করার ভাবনা। যে হেতু এই বিভাগে প্রচুর ট্রেন চলে, তাই তা বন্ধ রাখার নির্ঘণ্ট স্থির করতে অন্তত এক মাস সময় লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy