প্রতীকী ছবি।
মহকুমায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে ‘আরামবাগ মাস্টার প্ল্যান’-এর প্রথম পর্বের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত সেই কাজ পরিদর্শন করে দ্বিতীয় পর্বের কাজের নির্দেশ দিয়ে গেলেন সেচ ও পূর্ত দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব নবীন প্রকাশ।
বুধববার দুপুরে সেচ দফতর চাঁপাডাঙা বাংলোয় পূর্ত এবং সেচ দফতরের সঙ্গে দুটি পৃথক প্রশাসনিক বৈঠকের পর নবীন প্রকাশ পুরশুড়া, খানাকুল এবং আরামবাগে ‘আরামবাগ মাস্টার প্ল্যান’এর কাজ খতিয়ে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন জেলা এবং মহকুমার সেচ দফতরের আধিকারিকরা। জেলা সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তপন পাল বলেন, “দ্বিতীয় পর্বের কাজের পরিকল্পনার জন্য চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন।’’
রাজ্যে বর্ষা হাজির। বন্যাপ্রবণ আরামবাগ মহকুমার নদীবাঁধগুলো সংস্কারের কাজ এখনও শুরু হয়নি। তা নিয়ে মহকুমাবাসীর উদ্বেগ, ক্ষোভ প্রচুর। প্রশাসনও দিশেহারা। এই অবস্থায় মহকুমায় বন্যা মোকাবিলায় ‘আরামবাগ মাস্টার প্ল্যান’-এর উপর অনেকটাই ভরসা সেচ দফতরের।
কানা মুণ্ডেশ্বরী, কাটা খাল, কানা দ্বারকেশ্বর, অরোরা খাল ও ভোমরা খালের আমূল সংস্কার করে মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার জল নিকাশির ব্যবস্থা করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। বিভিন্ন নদী বাঁধ ভেঙে বা উপচে ঢুকে যাওয়া বন্যার জল দ্রুত নিকাশি হয়ে মহকুমার দক্ষিণপ্রান্তে রূপনারায়ণ নদে পড়বে। সেচ দফতরের মতে, এর ফলে পুরোপুরি বন্যা রোধ সম্ভব না হলেও অন্তত বন্যার জমা জল দ্রুত নিকাশি হয়ে যাবে। তার ফলে গ্রাম এবং খেতের মাঠ ডুবে থাকবে না। এটি আরামবাগ মাস্টার প্ল্যানের প্রথম পর্বের কাজ।
প্রথম পর্বের মধ্যে থাকা অরোরা খালের ৪.৫ কিলোমিটার অংশের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। খানাকুলের গড়েরঘাট এলাকার কাটা খালের ১০ কিলোমিটারের কাজ শেষ। ভোমরা খালের ৪.৫ কিলোমিটার অংশের কাজও সম্প্রতি শেষ হয়েছে। কানা মুণ্ডেশ্বরীর আরামবাগের বর্ধমান সীমানা কড়ুই থেকে বলরামপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ৯ কিলোমিটারের কাজ বাকি। মোট ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজটির জন্য ২০১৯ সালের গোড়ায় বরাদ্দ হয়েছে ৩৮ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা।
এ দিন চাঁপাডাঙার প্রশাসনিক বৈঠকে গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার তাঁর বিধানসভা এলাকার বেশ কিছু রাস্তা সংস্কার এবং সেতু নির্মাণের দাবি লিখিতভাবে দিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy