প্রতীকী ছবি।
হুগলির সাহাগঞ্জের কেওটায় ঠাকুমাকে কুপিয়ে খুনে অভিযুক্ত ইন্দ্রনীল রায়কে জেল হেফাজতে চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দিল চুঁচুড়া আদালত। মঙ্গলবার তাকে আদালতে নিয়ে যেতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। পুলিশকর্মীরা তার হাত ধরে নিয়ে যাওয়ায় বিরক্ত হয়ে বলে, তাঁরা যেন তার হাত ছেড়ে দেন। এই নিয়ে রীতিমতো তর্কও জুড়ে দেয়। ধস্তাধস্তির উপক্রম করে। আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, ধৃত মানসিক ভাবে অসুস্থ। বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। জেল কর্তৃপক্ষকে তার চিকিৎসার নির্দেশও দেয় আদালত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে কেওটার শিবতলা মেন রোডের বাসিন্দা ইন্দ্রনীল ঠাকুমা আরতীদেবীকে কুপিয়ে খুন করে। বাবাকে জখম করে। মায়ের উপরেও হামলার চেষ্টা করে। পুলিশ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। বাড়ির বাইরে ভিড় দেখে ফেসবুকে ‘লাইভ’ও করে সে।
বছর সাতাশের ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলার পরে তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা, অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলেই সে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে। জেরায় সব প্রশ্নের উত্তরই সে দিয়েছে অসংলগ্ন ভাবে। ওই ঘটনা নিয়ে অনুতাপ দূরঅস্ত, তার মধ্যে কোনও তাপ-উত্তাপই দেখা যায়নি।
আদালতে তোলার সময় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে সে বলে, ‘‘আমি ঠাকুমাকে মারিনি। ঘরে একটা অন্য বুড়ি ঢুকে ঠাকুমার উপরে অত্যাচার চালাচ্ছিল। সহ্য করতে না পেরে ওই বুড়িটাকে মেরেছি।’’
ইন্দ্রনীলের এ হেন কীর্তিতে হতবাক তার বাবা-মা এবং পড়শিরা। বাবা বিশ্বজিৎবাবু এ দিন থানায় এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বাবা হয়ে ছেলেটার জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু এমন একটা কাণ্ড ঘটাল কি বলব!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy