Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

চাষ বাড়াতে তিন ব্লকে ১০টি গভীর নলকূপ

কয়েক বছর ধরে এলাকার গভীর নলকূপগুলি অকেজো পড়ে থাকায় সেচের অভাবে হাওড়ার বাগনান-১, আমতা-২ ও উদয়নারায়ণপুর ব্লকের প্রায় এক হাজার একর কৃষিজমিতে চাষ কার্যত বন্ধ। নতুন করে ১০টি গভীর নলকূপ বসিয়ে ওই সব এলাকায় চাষ বাড়াতে উদ্যোগী হল জলসম্পদ দফতরের কৃষি-সেচ বিভাগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগনান শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৫ ০০:৩৮
Share: Save:

কয়েক বছর ধরে এলাকার গভীর নলকূপগুলি অকেজো পড়ে থাকায় সেচের অভাবে হাওড়ার বাগনান-১, আমতা-২ ও উদয়নারায়ণপুর ব্লকের প্রায় এক হাজার একর কৃষিজমিতে চাষ কার্যত বন্ধ। নতুন করে ১০টি গভীর নলকূপ বসিয়ে ওই সব এলাকায় চাষ বাড়াতে উদ্যোগী হল জলসম্পদ দফতরের কৃষি-সেচ বিভাগ।

জেলা কৃষি-সেচ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগনান-১ ব্লকের জোকা, বাগুর, দুর্লভপুর, হারোপ, হাটুরিয়া, হাটুরিয়া-পন্দপপুর ও পাতিনানে মোট সাতটি, আমতা-২ ব্লকের দক্ষিণ খালনায় একটি এবং উদয়নারায়ণপুর ব্লকের উদয়নারায়ণপুর ও কালিকাপুরে দু’টি গভীর নলকূপ বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

জেলা কৃষি-সেচ বিভাগের কার্যনির্বাহী আধিকারিক সন্দীপ পাল বলেন, “প্রায় দেড় কোটি টাকার ওই পরিকল্পনা জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরে পাঠিয়েছি। দফতর দ্রুত অনুমোদনের আশ্বাস দিয়েছে। টাকা মঞ্জুর হলেই কাজ শুরু হবে। তিনটি ব্লকের কয়েক হাজার চাষি উপকৃত হবেন।”

জেলার যে সব জায়গায় কৃষিকাজে নদী বা খালের জলের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা নেই, সে সব জায়গায় গভীর নলকূপ বসিয়ে সেচের ব্যবস্থা করে কৃষি-সেচ বিভাগ। তাদের অধীনে জেলায় ১১০টি গভীর নলকূপ রয়েছে। বছর চারেক আগে তিনটি ব্লকের ওই দশ জায়গায় গভীর নলকূপগুলি অকেজো হয়ে যায়। বিপাকে পড়েন চাষিরা। যাঁদের জমির কাছাকাছি পুকুর বা ডোবা রয়েছে, এত দিন তাঁরাই শুধু চাষ করতে পারছেন।

ওই বিভাগের এক কর্তা জানান, বহু চেষ্টা করেও অকেজো নলকূপগুলি সারানো যায়নি। তাই নতুন ভাবে গভীর নলকূপ বসানোর পরিকল্পনা করা হয়। নতুন নলকূপ বসানো হলে তাঁরা উপকৃত হবেন বলে জানান ওই সব এলাকার চাষিরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

farming deep tube well bagnan southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE