Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

পুজো নির্বিঘ্ন করতে এ বার মণ্ডপে সিসি টিভি-র ব্যবস্থা

মহালয়ার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্ট ডাউন। পিতৃপক্ষের অবসানে হাতে ব্যাটন তুলে নিয়েছে দেবীপক্ষ। পুজোর উদ্যোক্তাদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। বৃষ্টির ভ্রূকুটির মধ্যেই মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাস্তায় মানুষের ঢল সামাল দেওয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতির মহড়া চলছে পুলিশেও। হুগলিতে উত্তরপাড়া, ডানকুনি, কোন্নগর, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, চুঁচুড়া, ব্যাণ্ডেল-সহ অন্যান্য এলাকায় ধুমধাম করে পুজো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩২
Share: Save:

মহালয়ার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্ট ডাউন। পিতৃপক্ষের অবসানে হাতে ব্যাটন তুলে নিয়েছে দেবীপক্ষ। পুজোর উদ্যোক্তাদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। বৃষ্টির ভ্রূকুটির মধ্যেই মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাস্তায় মানুষের ঢল সামাল দেওয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতির মহড়া চলছে পুলিশেও।

হুগলিতে উত্তরপাড়া, ডানকুনি, কোন্নগর, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, চুঁচুড়া, ব্যাণ্ডেল-সহ অন্যান্য এলাকায় ধুমধাম করে পুজো হয়। শহর এলাকা তো বটেই, তারকেশ্বর বা আরামবাগের মতো মফস্সল শহরেও কাতারে কাতারে মানুষ বেরিয়ে পড়েন ঠাকুর দেখতে। ফলে পুজোর ক’দিন মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাটা পুলিশের কাছে খুবই গুরুত্বের হয়ে দাঁড়ায়। আর সেই কারণে এ বার ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠক করেছেন। পুজো কমিটিগুলির সঙ্গেও আলোচনা সেরে ফেলেছেন সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্তারা।

ভিড়ের নিরিখে পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কিছু বড় পুজোকে বেছে নেওয়া হয়েছে। মূলত শহরকেন্দ্রিক এই সমস্ত পুজোর উদ্যোক্তাদর মণ্ডপে সিসিটিভি লাগাতে বলা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে কিছু নির্দেশিকাও। যেমন, মহিলাদের ঢোকা ও বেরোনোর জন্য পৃথক ব্যবস্থা করতে হবে, মণ্ডপগুলির কাছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। জেলার পুলিশ কর্তাদের বক্তব্য, সকাল থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা মণ্ডপের দেখভাল করেন, সন্ধে থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু ভিড় কমতে থাকলে ধীরে ধীরে তাঁরাও উধাও হয়ে যান। ফলে রাত গভীর হলেই মণ্ডপ কার্যত অরক্ষিত হয়ে পড়ে। সেই কারণে এ বার পুজোর উদ্যোক্তাদের সারা রাত মণ্ডপে থাকতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, থানাগুলির পক্ষ থেকে প্রতিটি পুজো কমিটিকে স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য নিদিষ্ট সংখ্যক ব্যাজ দেওয়া হবে। যাঁরা স্বেচ্ছাসেবক হবেন তাঁদের নাম, মোবাইল নম্বর জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট থানায়। জরুরিকালীন অবস্থার কথা ভেবে মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর পথ যথাসম্ভব বড় করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মাইক্রোফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। রাত ১০টার পর মাইক বাজানো যাবে না। শুধুমাত্র ঘোষণার জন্য মাইক্রোফোন ব্যবহার করা যাবে।

শ্রীরামপুর থানার পক্ষ থেকে পুজোর উদ্যোক্তাদের বিধিনিষেধ সংক্রান্ত যে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তা হল মণ্ডপে কমপক্ষে ৪টি সিসিটিভি লাগাতে হবে। মণ্ডপের কাছে মোটরবাইক, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। উত্তরপাড়া বা ডানকুনির মতো থানাগুলি থেকেও এ ধরনের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তবে, উত্তরপাড়া বা শ্রীরামপুরে পার্কিংয়ের ভাল বন্দোবস্ত প্রায় কোথাও নেই। উত্তরপাড়ার অনেক পুজোর উদ্যোক্তাই পুলিশকে এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সমস্যা মেটাতে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, ঘড়িবাড়ি মাঠের মতো কয়েকটি জায়গায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে থানা সূত্রে জানানো হয়েছে। মহকুমা পুলিশের এক কর্তা জানান, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, ডানকুনি, বৈদ্যবাটির অনেক পুজোই ঘিঞ্জি জায়গায় বা একেবারে রাস্তার ধারে। ফলে যান চলাচল সচল রাখতে সুষ্ঠু পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা জরুরি।”

পুজোর আয়োজনের পাশাপাশি বিসর্জনও যাতে নির্বিঘ্নে হয় সে জন্য ঘাটগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। ঠিক হয়েছে, দশমী অর্থাৎ ৩ অক্টোবর থেকে পরের দিন সারা রাত ধরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে। ৪ অক্টোবর বখরি ঈদ। ওই দিন থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ থাকবে। ওই দিন রাত ৮টা’র পর থেকে পরের দিন ভোরের মধ্যে সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal pujo serampore cctv camera
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE