Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

রোগীর হাতের টর্চেই ধরা পড়ে গেল দুই অভিযুক্ত

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এক রোগীর হাতের টর্চ ধরিয়ে দিল শ্যামপুর-কাণ্ডের দুই অভিযুক্তকে। শুক্রবার রাতে হাওড়ার শ্যামপুরের অনন্তপুর গ্রামে যাত্রা ফেরত মা-মেয়ের উপরে হামলা চালিয়েছিল দুই যুবক। শনিবার রাতে সেই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শ্যামপুরের সেকো সুলতানপুরের বাসিন্দা দীপঙ্কর মাজি এবং রতনপুরের মিঠু দাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আর সেই কাজে পুলিশকে সাহায্য করল স্থানীয় ঝুমঝুমি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন মিঠু-দীপঙ্করদের এক বন্ধুর কাছে থাকা একটি টর্চ।

আদালতের পথে দুই ধৃত। রবিবার সুব্রত জানার তোলা ছবি।

আদালতের পথে দুই ধৃত। রবিবার সুব্রত জানার তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্যামপুর শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২৩
Share: Save:

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এক রোগীর হাতের টর্চ ধরিয়ে দিল শ্যামপুর-কাণ্ডের দুই অভিযুক্তকে।

শুক্রবার রাতে হাওড়ার শ্যামপুরের অনন্তপুর গ্রামে যাত্রা ফেরত মা-মেয়ের উপরে হামলা চালিয়েছিল দুই যুবক। শনিবার রাতে সেই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শ্যামপুরের সেকো সুলতানপুরের বাসিন্দা দীপঙ্কর মাজি এবং রতনপুরের মিঠু দাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আর সেই কাজে পুলিশকে সাহায্য করল স্থানীয় ঝুমঝুমি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন মিঠু-দীপঙ্করদের এক বন্ধুর কাছে থাকা একটি টর্চ।

কী ভাবে?

পুলিশ জানায়, টর্চটি আসলে আক্রান্ত মহিলারই। শুক্রবার রাতে মেয়েকে টেনে নিয়ে যেতে দেখে বাধা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়। সেই হামলার সময়ে মহিলার সঙ্গে থাকা টর্চটি পড়ে যায়। মিঠু সেই টর্চ কুড়িয়ে নেয়। মিঠু এবং দীপঙ্কর দু’জনেই স্থানীয় একটি ব্যান্ড পার্টির সদস্য। শনিবার তারা সেই দলে যোগ দেয়। সেখানে তাদের এক বন্ধু অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতে তাঁকে ঝুমঝুমি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্ধকারে সুবিধার জন্য মিঠু টর্চটি বন্ধুকে দেয়। সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তখন ওই মহিলার চিকিৎসা চলছিল। মেয়েও তাঁর সঙ্গে ছিল। সে টর্চটি চিনতে পারে। এর পরে ওই রোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মিঠু-দীপঙ্করের সন্ধান মেলে। বাজনার বায়না দেওয়ার নাম করে গিয়ে তাদের ধরা হয়। এ ছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া মিঠুর জামার একটি বোতামও তদন্তে সাহায্য করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে ধারালো অস্ত্রটিও। জেরায় ধৃতেরা অপরাধ স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি।

ধৃতদের রবিবার উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, গুরুতর জখম করা-সহ ছ’টি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতেই আক্রান্ত ওই মহিলাকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে মঙ্গলবার রাতে যাত্রা দেখে ফেরার পথে আক্রান্ত হওয়া শ্যামপুরেরই গুজারপুরের এক কিশোরীও। রবিবার দু’জনকে দেখতে হাসপাতালে যায় সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য-সহ কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে মন্তব্য করে প্রদীপবাবু এই দু’টি ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন ঘটনায় বিবৃতি দেন। শ্যামপুরে পর পর দু’টি ঘটনায় তিনি নীরব কেন?”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE