Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ পরীক্ষা

ভুলে ভরা মার্কশিট, ক্ষুব্ধ প্রাথমিকের শিক্ষকরা

মার্কশিটে অজস্র ভুল। প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ (ডিএলএড) কোর্সের প্রথম বর্ষের পরীক্ষার মার্কশিট হাতে পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরীক্ষার ফল প্রকাশের ছ’মাস পরে ভুলে ভরা মার্কশিট হাতে পেয়ে বিপাকে পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকশো শিক্ষকতার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৪২
Share: Save:

মার্কশিটে অজস্র ভুল। প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ (ডিএলএড) কোর্সের প্রথম বর্ষের পরীক্ষার মার্কশিট হাতে পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরীক্ষার ফল প্রকাশের ছ’মাস পরে ভুলে ভরা মার্কশিট হাতে পেয়ে বিপাকে পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকশো শিক্ষকতার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের দাবি, এ বিষয়ে জেলার বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয় পরিদর্শক ও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। মার্কশিটে ভুল থাকার কথা স্বীকার করে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সুজিতকুমার মাইতি বলেন, “প্রশিক্ষণরত প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মার্কশিটে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভুল থাকার বিষয়টি ইতিমধ্যে আমাদের নজরে এসেছে। ওইসব শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে মার্কশিট-সহ আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে। এগুলি সংশোধনের জন্য রাজ্য স্তরে পাঠানো হবে।”

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এনসিটিই-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী ২০০১ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের পর নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দু’বছরের প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ কোর্স করতে হবে। এ জন্য রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে ওইসব প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দূরশিক্ষার মাধ্যমে ডিএলএড কোর্স করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলার ১১টি প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্রে দূরশিক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের বাছাই করা প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ চলছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রশিক্ষণরত প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া হয়। গত জুন মাসে ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। তার প্রায় ছ’মাস পরে গত ৫ ডিসেম্বর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মার্কশিট দেওয়া হয়। কিন্তু মার্কশিট হাতে নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই দেখেন, মার্কশিটে কারও বাবার নাম ভুল আবার কারও নামের পদবি ভুল লেখা রয়েছে। মার্কশিটে কারও কারও কলেজের নামও ভুল লেখা রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দেওয়া মার্কশিটে ভুল থাকা নিয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন। এসইউসি প্রভাবিত বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা অভিযোগ করেন, “প্রশিক্ষন নেওয়া প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরীক্ষার তিন মাস পরে ফলাফল প্রকাশিত হয়। তারও ছ’মাস পরে মার্কশিট দেওয়া হয়েছে। তা সত্বেও প্রচুর মার্কশিটে ভুল থাকার ঘটনা চুড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়।” আনন্দবাবু জানান, আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীকে জানিয়েছি। অবিলম্বে ওইসব মার্কশিট সংশোধন করে নতুন করে মার্কশিট দেওয়ায় জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিকেরও অভিযোগ, “প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে অধিকাংশের মার্কশিটে বিভিন্ন ভুল থাকার জেরে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা সমস্যায় পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।” তাঁর আরও অভিযোগ, “মার্কশিটগুলিতে যে কালি দিয়ে লেখা হয়েছে, তা সহজেই মুছে যাচ্ছে। এরফলে বিভিন্ন তথ্য বিকৃত করে ফেলার আশঙ্কা থাকছেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

marksheet primary teachers training exam tamluk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE