প্রতীকী ছবি।
তৃণমূল-বিজেপি উত্তেজনা জারি নন্দীগ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতেও উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা বচসা এবং মারামারিতে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের গাড়িও। ওই ঘটনায় তিন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিজেপি’র অভিযোগ, নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কেশবপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের দলের কয়েকজন কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূলের লোকেরা। দাবি, স্থানীয় তিন সিভিক ভলান্টিয়ারের নেতৃত্বে প্রায় ২০ জন শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতী রাত ৯টা নাগাদ বিজেপি’র বুথ সভাপতি জয়দেব দাস, মণ্ডল সভাপতি জয়দেব -সহ কয়েক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। স্থানীয় সূত্রের খবর, খবর পেয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ সেখানে হাজির হয় এবং শাসক দলের সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। তা গড়ায় হাতাহাতিতে।
বিজেপি’র অভিযোগ, সোনাচূড়া, কালীচরণপুর এবং গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে আমপানের ক্ষতিপূরণের তালিকায় দুর্নীতি নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল বিজেপি’র। সেই পরিকল্পনা ভণ্ডুল করতেই শাসকদল এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।
পরে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে বিবাদমান দু’পক্ষকেই সরিয়ে দেয়। সেই সময় পুলিশের উপস্থিতেই বিজেপি এবং তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা একে অন্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে যাওয়ার পরে পুলিশ কর্মীরা যখন ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন বিজেপি কর্মীরা তাঁদের মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করেন। তাতে তিন সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন বলে অভিযোগ।
তৃণমূল-বিজেপি একে অন্যের বিরুদ্ধের কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। কিন্তু পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে এবং তিন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ গন্ডগোল থামাতে চেয়েছিল। কিন্তু এলাকার কেউ কেউ পুলিশের ওপর হামলা করতে উদ্যত হয়। তাতে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকজন পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতেরা হল প্রশান্ত কোটাল, অরিন্দম সামন্ত এবং মনোরঞ্জন লাইয়া। শুক্রবার ধৃতদের হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বিজেপির যুব মোর্চার নেতা বটকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘‘শাসকদলের উসকানিতে তাদের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করেছে। কিন্তু পুলিশ বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করছে। এখনও অন্য বিজেপি কর্মীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ এবং শাসকদলের ভয়ে বিজেপি কর্মীরা গ্রামছাড়া।’’ যদিও তৃণমূলের নন্দীগ্রাম বিধানসভার কমিটির চেয়ারম্যান মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘এই ঘটনার সাথে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির লোকজন পুলিশকে মারধর করেছে। তাই পুলিশ পুলিশের মত পদক্ষেপ করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy