দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। চন্দ্রকোনায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
বৌভাতের অনুষ্ঠান সেরে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল কনে যাত্রী বোঝাই মিনি ট্রাক। ঘটনার জেরে মৃত্যু হল দুই কিশোরের। আহত হন ১৫ জন। শুক্রবার রাতে চন্দ্রকোনা থানার ধরমপুরে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের ঘটনা। মৃতদের নাম শিবু সাঁত (১৮) ও বাচ্চু সিংহ (১৫)। তাদের বাড়ি কেশপুর থানার কুশবেড়িয়া গ্রামে। আহতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। তাঁরা চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকেই ট্রাকের চালক পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় কেশপুরের কুশবেড়িয়া থেকে মিনিট্রাকে করে ধরমপুরে বৌভাতের অনুষ্ঠানে এসেছিল ৫২ জন কনে যাত্রী। অনুষ্ঠান শেষে রাত ১টা নাগাদ কেশপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় তারা। ধরমপুর গ্রামের শেষপ্রান্তে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পরপর দু’টি দোকানে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে নেমে যায়। গতি বেশি থাকায় গাড়িটি নয়ানজুলিতে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে। ঘটনার জেরে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। খুঁটির তার গলায় জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই শিবু সাঁতের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। একইভাবে আহত বাচ্চু সিংহ-সহ আহতদের স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় বাচ্চুর।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা কুঁয়াপুর অঞ্চলের সদস্য স্বপন ঘোষ বলেন, ‘‘রাতে বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। তখনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ট্রাকের দু’জনের গলায় বিদ্যুতের তার জড়ানো। আমরাই তার কেটে ওদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।” স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, রাতে রাস্তা ফাঁকাই ছিল। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
চন্দ্রকোনা থানার ওসি দয়াময় মাঝি বলেন, “ঘটনার সময় এলাকায় লোডশেডিং ছিল। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে এলে আরও বড় দুর্ঘটনা থাকতে পারত। তাই দুর্ঘটনার পরেই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy