Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শিশুকে যৌন নিগ্রহ, গ্রেফতার নাবালক

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর উত্তর গড়ভেড়া গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণদেব বর্মণের একটি জমি নির্যাতিতার বাড়ির পাশে রয়েছে। এলাকায় যাতায়াতের সুবাদে ওই শিশুকন্যার সঙ্গে তরুণের পরিচয় ছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভগবানপুর শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ১১:২৬
Share: Save:

সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার হল দশম শ্রেণির এক স্কুল পড়ুয়া। ভগবানপুর থানার উত্তর গড়ভেড়া গ্রামের ওই ঘটনায় নির্যাতিতা তমলুক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি ওই শিশুর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য অন্য তত্ত্ব দিয়েছেন।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর উত্তর গড়ভেড়া গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণদেব বর্মণের একটি জমি নির্যাতিতার বাড়ির পাশে রয়েছে। এলাকায় যাতায়াতের সুবাদে ওই শিশুকন্যার সঙ্গে তরুণের পরিচয় ছিল। গত শুক্রবার বিকেলে ওই শিশুকে আচার খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে পূর্ণদেব তাকে তার বাড়ির দোতলায় নিয়ে যায়। সেখানেই সে শিশুকে যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। ওই শিশু কাঁদলে পরিবারের লোকেরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে পুরো বিষয়টি জানতে পারে শিশুর পরিবার।

শুক্রবারই বিকেলে ভগবানপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশুটিকে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু শারীরিকর অবস্থার অবনতি হলে রবিবার চিকিৎসকেরা তাকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। ঘটনার একদিন পরে শনিবার রাতে ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শিশুটির বাবা। রবিবার রাতে পুলিশ পূর্ণদেবকে গ্রেফতার করে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ঘটনার পরেই এলাকার তৃণমূলের লোকেরা বিষয়টি টাকা দিয়ে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করে ভগবানপুর-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মদনমোহন পাত্র বলেন, ‘‘তৃণমূলের এই ধরনের জঘন্য ঘটনাকে কখনও প্রশ্রয় দেয় না। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

নির্যাতিতার পরিবারের আরও অভিযোগ, সোমবার সকালে জেলা হাসপাতালে শিশুর ঠাকুমাকে হুমকি দেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ দুই যুবক জেলা হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতা-সহ তার ঠাকুমাকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এ নিয়ে তাঁরা হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মীদের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। শিশুর ঠাকুমা বলেন, ‘‘ওয়ার্ডের বারন্দায় দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলাম। দুই যুবক এসে বাচ্চাকে নিয়ে চলে যেতে বলে।’’ শিশুটির বাবার অভিযোগ, ‘‘কারা এই ঘটনায় জড়িত বুঝতে পারছি না। তবে আমার মেয়ের উপর অত্যাচারে অভিযুক্ত ছেলেটির কেউ এখানে এসেছিল বলে অনুমান।’’ যদিও এ প্রসঙ্গে জেলা হাসপাতালের সুপার গোপাল দাস বলেন, ‘‘প্রসূতি বিভাগে শিশুটিকে রাখায় নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের অন্য বিভাগে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।’’ কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষীরা কি এই কাজ করতে পারেন? তাঁরা চিকিৎসাধীন কাউকে কি করে বেরিয়ে যেতে বলতে পারেন! জবাবে হাসপাতালের সুপার বলেন, ‘‘বেরিয়ে যেতে বলা হয়নি। ওঁদের নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল।’’

শিশু নির্যাতনের ঘটনায় এগরার এসডিপিও শেখ আখতার আলি বলেন, ‘‘ধৃত নাবালক। তাই তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rape Tamluk ধর্ষণ
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE