প্রতীকী ছবি।
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অসংরক্ষিত আসনের টিকিট বিক্রিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের আয় প্রায় ৯১ শতাংশ আয় বেড়েছে বলে দাবি করলেন রেল কর্তৃপক্ষ। শুধু অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রিই নয়, যাত্রী থেকে পণ্য পরিবহণেও আয় বেড়েছে। আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিষেবার মান উন্নত করতেও নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি রেলের।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে খড়্গপুর ডিভিশনে যাত্রী পরিবহণ বাবদ রেল প্রায় ১২৮৫ কোটি টাকা আয় করেছে। এই আয় ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ বেশি বলে দাবি করেছে। এ ক্ষেত্রে রেল বোর্ডের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার থেকেও এক শতাংশ বেশি আয় করতে পেরেছে খড়্গপুর ডিভিশন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকিট পরীক্ষা চলাকালীন জরিমানার মাধ্যমেও আয় বেড়েছে রেলের এই ডিভিশনে। ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের তুলনায় গত অর্থবর্ষে প্রায় ১৫ শতাংশ আয় বাড়িয়ে এ বার ২২ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা আয় করেছে রেল। সেই সঙ্গে গত অর্থবর্ষে প্রায় ১৮৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহণ করেছে রেল। ওই যাত্রীদের অনেকেই মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ট্রেনের অসংরক্ষিত আসনের টিকিট কেটেছে বলে দাবি রেলের। এ ক্ষেত্রে ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের তুলনায় গত অর্থবর্ষে আয় প্রায় ৯১ শতাংশ বেড়ে ৫০ লক্ষ টাকা হয়েছে।
রেলের দাবি, আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিষেবার মানও উন্নত করা হয়েছে। গত অর্থবর্ষে খড়্গপুরে ইলেকট্রনিক্স রুট ইন্টারলকিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে যাত্রী নিরাপত্তায় জোর দিয়ে খড়্গপুর, বালেশ্বর, দিঘা, শালিমার, হাওড়ার মতো ‘এ-ওয়ান’ ও ‘এ’ ক্যাটাগরির স্টেশনগুলিতে প্রথম পর্যায়ে বহু সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ ছাড়াও নানা কাজ হয়েছে। খড়্গপুর স্টেশনের নিত্যযাত্রী শিখা দাস বলছেন, “স্টেশনের নিরাপত্তা, সময়ে ট্রেন চলাচল, সাবওয়ের অভাব রয়েছে।” রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রেই আয় বাড়িয়েছি।
সেই সঙ্গে পরিষেবারও উন্নতি হয়েছে। গত অর্থবর্ষের তুলনায় অসংরক্ষিত টিকিট কাটার কাজে অ্যাপের ব্যবহার বাড়াতে পেরে খুশি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy