প্রতীকী চিত্র
উদ্দেশ্য, শবর মহিলাদের স্বনির্ভর করা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের তাই দেওয়া হল ছাগল। কিন্তু অভিযোগ, ঘরে আনার কয়েকদিনের মধ্যে মরতে শুরু করেছে একাধিক ছাগল। কথায় আছ, মরা হাতি লাখ টাকা। কিন্তু মরা ছাগল! অভিযোগ, ভাল-মন্দ কিছু ঘটে যাওয়ার আগেই নাকি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অনেক শবর মহিলা ছাগল বেচতে শুরু করেছেন। অসুস্থ, দুর্বল ছাগল বিলি হয়েছে বলে বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাহালা হাঁসদার কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন অনেকে। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘এটাই মা-মাটি সরকারের উন্নয়ন। এটাই আদিবাসী মহিলাদের স্বনির্ভর করার নমুনা। অসুস্থ ছাগল বিলির নেপথ্যে নিশ্চয়ই কাটমানি রয়েছে।’’ পুরো ঘটনায় যে সরকারের আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে তা মানছেন রাহালাও। তাঁর কথায়, ‘‘শবর মহিলাদের অভিযোগ পেয়েছি। ছাগল মরতে শুরু করায় গোষ্ঠীর মহিলারা কম দামে ছাগল বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে খবর পাচ্ছি। এর ফলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত।’’
বেলপাহাড়ি ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৮টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ছাগল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতি গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ ছিল এক লক্ষ টাকা। প্রতি গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে ৩৫ টি করে ছাগল। টাকা আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত ব্লকের স্বনির্ভর সঙ্ঘকে বরাত দিয়ে ছাগল কেনা হয়েছে। এক শবর মহিলা বলেন, ‘‘বাড়ি নিয়ে আসার পরে দেখা গেল, দুর্বল ছাগলগুলি টলমল করে হাঁটছিল। পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ৩০টি ছাগল মরে গিয়েছে।’’ সূত্রের খবর, ছাগল কেনা হলে নিয়মমাফিক প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতর থেকে সুরক্ষা শংসাপত্র নেওয়া জরুরি। সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাগলগুলির কানে ট্যাগ পরিয়ে অন্তত পনেরো দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। ওই সময়ের মধ্যে প্রাণিচিকিৎসকরা প্রতিষেধক ও কৃমিনাশক দেন। প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এটি ব্লকের মাধ্যমে জেলার প্রকল্প। ছাগলগুলির কানে ট্যাগ পরাতে আমাদের ডাকা হয়েছিল। সুস্থ ছাগলের কানে ট্যাগ পরানোও হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy