যেতে-যেতে: গোয়ালতোড় থেকে গড়বেতায় হাতির পাল। নিজস্ব চিত্র
ডেরা বদলাল হাতির পাল। গোয়ালতোড় থেকে প্রায় ৫০-৫৫টি হাতি মঙ্গলবার ভোরে গড়বেতায় ঢুকেছে। বন দফতর সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতেই হুমগড়ের হদহদির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতিগুলি প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আমলাগোড়ার মাগুরাশোল জঙ্গলে এসে ঘাঁটি গাড়ে। পথে তারা বিঘার পর বিঘা জমির ধান নষ্ট করেছে। বনদফতর জানিয়েছে, হাতির পালের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
এ দিকে হুমগড়ের হদহদির জঙ্গলে সোমবার রাতে বাচ্চা প্রসব করেছে এক হস্তিনী। জঙ্গলে হাতিদের উপর নজর রাখতে গিয়ে বনকর্মীরা দেখতে পান একটি হাতিকে আরও কয়েকটি হাতি ঘিরে রেখেছে। বনকর্মীদের দেখতে পেয়ে অন্য হাতিরা তাঁদের তাড়া করে। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন দুই বনকর্মী। জানা গিয়েছে, জঙ্গলে সদ্যোজাত হস্তিশাবক ও হস্তিনী দু’জনেই সুস্থ আছে, তাদের ঘিরে রেখেছে আরও ৫-৬ টি পুরুষ হাতি। ডেরা না বদলিয়ে তারা হদহদির জঙ্গলেই রয়ে গিয়েছে।
বন দফতর সূত্রে খবর, হস্তিনীর শাবক প্রসবের কয়েকঘন্টা পরই সেই জঙ্গল ছাড়ে অন্য হাতিগুলি। আমকোপা, আমলাগোড়া অঞ্চল হয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে আমলাগোড়া রেঞ্জের মাগুরাশোল জঙ্গলে এসে তাঁরা ঘাঁটি গেড়েছে মঙ্গলবার ভোরে। লোকালয়ে না ঢুকে হাতিগুলি যাতে জঙ্গল রাস্তা ধরেই ডেরা পরিবর্তন করে, সে জন্য বনকর্মীরা রাত জেগে পাহারা দিয়েছেন। সতর্ক করা হয় গ্রামবাসীদের। অনেকে হাতির হানা থেকে ধান বাঁচাতে লাঠি হাতে নিজেরাই জমি পাহারা দেন। কিন্তু বহু চেষ্টাতেও লাভ হল না।
বন দফতরসূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির যাতায়াতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ হেক্টর ধানজমির। ধানঘোরি, আমকোপা, খড়কাটা, রেংটা, নিমডাঙা, বামনিশোল, সাতবিন্দা, লেদাগামার প্রভৃতি মৌজায় হাতির পায়ের চাপে ধানখেত তছনছ হয়েছে।
বনদফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘হাতিদের উপর সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে। বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy