পুলিশি তল্লাশি চলছে কুশপাতার নার্সিংহোমে। নিজস্ব চিত্র
শিশু পাচার কাণ্ড নিয়ে গোটা রাজ্য সরগরম। এর মধ্যে ঘাটালে একটি শিশু বিক্রির অভিযোগ উঠল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই।
বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হতেই জেলা স্বাস্থ্য দফতর শহরের কুশপাতায় সঞ্জীবন নামে ওই নার্সিংহোমে তল্লাশি চালায়। বাজেয়াপ্ত করে নার্সিংহোমের সমস্ত নথি। ৪০ হাজার টাকায় যে মহিলা শিশুকন্যাটি কিনেছিলেন, গ্রেফতার করা হয় তাকেও। ধৃতের নাম মায়া গুছাইত। বাড়ি দাসপুরের কলোড়া গ্রামে। শিশুটিকে উদ্ধার করে টাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “নার্সিংহোমে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সেটি সিল করা হবে। জেলা জুড়ে সব নার্সিংহোমেই তল্লাশি চলবে।”
পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মায়াদেবীর দশ ও আট বছরের দু’টি ছেলে রয়েছে। তাঁর বন্ধ্যাকরণ হয়ে গিয়েছিল। গত ১৩ নভেম্বর ওই নার্সিংহোম থেকে তিনি শিশুটিকে কেনেন। গত বুধবার শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি সংলগ্ন সুলতাননগর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পোলিও খাওয়াতে নিয়ে যান তিনি। তাঁর বন্ধ্যাকরণের কথা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের জানা ছিল। ফলে, বধূর কাছে শিশুটিকে দেখতে পেয়ে সেখানকার কর্মীরা জেরা শুরু করেন। মায়াদেবী শিশু কেনার কথা কবুল করেন। বুধবারই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা দাসপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জানায়। ঘটনাটি জানার পরই গোপনে খোঁজখবর শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। বৃহস্পতিবার বিকেলেই স্বাস্থ্য দফতর পুলিশে জানায়। অভিযোগ পেয়েই দাসপুর থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় শিশুটিকেও।
পুলিশ জানিয়েছে,ওই মহিলাকে জেরা করা হচ্ছে। কী উদ্দেশ্যে এত টাকা দিয়ে তিনি শিশুটি কিনেছিলেন, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিন রাতেই শিশুটিকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। শিশুটিকে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy