Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পুর পারিষদের বিরুদ্ধে জমি দখলের নালিশ

শিল্প শহর হলদিয়া পুরসভার ওই ঘটনায় হলদিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ ওই পুর পারিষদ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে হলদিয়া মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আপাতত বন্ধ রয়েছে ওই নির্মাণ কাজ।

এই জমি ঘিরেই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।

এই জমি ঘিরেই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:২৪
Share: Save:

পুরসভার জমি দখল করে প্রাচীর বানানোর অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের এক পুর পারিষদের বিরুদ্ধে। শিল্প শহর হলদিয়া পুরসভার ওই ঘটনায় হলদিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ ওই পুর পারিষদ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে হলদিয়া মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আপাতত বন্ধ রয়েছে ওই নির্মাণ কাজ।

পুরসভা সূত্রের খবর, পুরভবনের পাশে রবীন্দ্র-নজরুল মুক্তমঞ্চের কাছে ৪৩ ডেসিমেল এলাকা বিশিষ্ট একটি জমি রয়েছে। বিশেষ জমি অধিগ্রহন আইনে দেভোগ মৌজার ওই ৪৩ ডেসিমেল জমি অধিগ্রহণ করেছিল পূর্বতন রাজ্য সরকার। পরে তারা জমিটি ‘হলদিয়া নোটিফায়েড এরিয়া অথারিটি’কে হস্তান্তর করে। ১৯৯০ সালের ১৯ এপ্রিল ওই জমি হলদিয়া পুরসভার হাতে তুলে দেয় ‘হলদিয়া নোটিফায়েড অথারিটি’। ওই জমিতে গত ২৫ ডিসেম্বর একটি প্রাচীর তোলার চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে হলদিয়ার বর্তমান পুর পারিষদ (পানীয় জল সরবরাহ) আজগর আলি-সহ তাঁর কয়েকজন অনুগামীর বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে পুর পারিষদকে নোটিস পাঠায় হলদিয়া পুর কর্তৃপক্ষ। নোটিসের কোনও জবাব না মেলায় গত জানুয়ারিতে এ নিয়ে হলদিয়া আদালতে পুর কর্তৃপক্ষ একটি মামলা দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে আদালতের তরফে একজন কমিশনার নিয়োগ করা হয় এবং নির্দেশ দেওয়া হয় ওই কাজ বন্ধ করার। হলদিয়া মহকুমা আদালতের আইনজীবী তথা ওই মামলায় নিয়োজিত কমিশনার রুমা অধিকারী বলেন, ‘‘পুরসভার জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছিল। অভিযুক্তেরা পুরসভার নোটিসের জবাব না দেওয়ায় পুর কর্তৃপক্ষ আদালতে জানান। তাই আদালতের নির্দেশ মত বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আমি একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছি।’’

ঘটনায় যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তির উঠেছে, সেই পুর পারিষদ আজগর আলি অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওই জমির যাবতীয় নথি আমাদের অনুকূলে রয়েছে। তাই সেখানে নির্মাণ কাজ করছিলাম।’’ যদিও পুরসভার একটি সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের জমি সংক্রান্ত নথি দেওয়ার জন্য যে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, এখনও তার কোনও জবাব মেলেনি।

গোটা ঘটনায় মতামত জানতে ফোন করা হয়েছিল হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক এবং ভাইস চেয়ারম্যান সুধাংশু মণ্ডলকে। তবে তাঁরা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Haldia TMC Politics Illegal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE