—প্রতীকী ছবি।
এক আদিবাসী যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছে মেদিনীপুর শহরে। সোমবার সকালে শহরের নবীনাবাগ এলাকা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় বছর একুশের ওই যুবতীকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয় কয়েকজন। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। যুবতীকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পরে খবর পেয়ে যুবতীর পরিজনেরা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছন। তাঁদের অভিযোগ, ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে কেউ ফেলে রেখে গিয়েছিল। সোমবার রাতে যুবতীর পরিজনেরা পুলিশের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। পুলিশও মানছে, এটি ধর্ষণের ঘটনা। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘মেদিনীপুরের ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, ওই যুবতী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
বছর একুশের ওই যুবতীর বাড়ি শহরের নতুনবাজার এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়েটি পরিচারিকার কাজ করেন। রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাতে আর ফেরেননি। এখন তিনি মেদিনীপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন। বাড়ি না ফেরায় রাতেই খোঁজখবর শুরু করেন পরিজনেরা। তবে কোথাও খোঁজ মেলেনি।
সোমবার সকালে নবীনাবাগে এক পুকুরের পাশে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন। খানিক সুস্থ হলে তদন্তকারীরা ওই যুবতীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঠিক কী হয়েছে তা জানার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy