সবংয়ে পড়ুয়াদের সংবর্ধনা দিচ্ছেন মানস ভুঁইয়া। —নিজস্ব চিত্র।
সিপিএমের সঙ্গে জোট হলে ক্ষতি হবে কংগ্রেসের। মঙ্গলবার সবং হাইস্কুল মাঠে সবং পঞ্চায়েত সমিতির এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। রাজ্যে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মানসবাবু বলেন, ‘‘পলিটব্যুরো বৈঠক আর প্লেনামের আগে সিপিএম এ সব কথা বলে বাজার গরম করতে চাইছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের কয়েকজন নেতা সিপিএমের সঙ্গে জোটের কথা বলছেন। কিন্তু এতে সিপিএম উপকৃত হবে। কংগ্রেসের লাভ হবে না। কংগ্রেসের যে লাভ হবে না সেটি শিলিগুড়ি মডেলেই প্রমাণিত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘শিলিগুড়ি মডেলে অশোক ভট্টাচার্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাঁর দল সিপিএমের লাভ হয়েছে। তৃণমূল ওই মডেলে দ্বিতীয় স্থানে। আর কংগ্রেস সেই তৃতীয় স্থানেই।’’
বিগত বাম জমানার সমালোচনা করে মানসবাবু বলেন, ‘‘৩৪ বছরের সিপিএমের সন্ত্রাস থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে তৃণমূলের হাত ধরে বদলা নয়, বদল চাই বলেছিলাম। এখন বদল হয়েছে। কিন্তু বদলা চলছে।’’ সোমবার নন্দীগ্রামের তেখালিতে প্রশাসনিক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা ভোটে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করার কথা বলেছেন। এ দিন সেই প্রসঙ্গে মানসবাবু সাংবাদিকদের বলেন, “এই বিষয়টি তৃণমূলের সাংগঠনিক বিষয়। তা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। তবে শুভেন্দু ভাল ছেলে। কাজের মানুষ। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এতদিন নানা কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যেত। তবে এখন তাঁকে নন্দীগ্রামে থাকতে হবে। কারণ দল এখন তাঁকে নন্দীগ্রামে ঢুকিয়ে দিল।”
এ দিন সবং পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন হয়। সভায় সবংয়ের ১৩টি অঞ্চলের ২১০০ জন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের হাতে মানপত্র ও রামকৃষ্ণ, সারদা, বিবেকানন্দের বাণী সংবলিত একটি পুস্তিকাও তুলে দেন মানসবাবু। উপস্থিত পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “নিজেদের বিদ্যালয়, সবং, মেদিনীপুর ও বাংলার নাম কখনও ভুলে যেও না। বিবেকানন্দের বাণী অনুসরণ করে চললে জীবনে অনেক উন্নতি হবে।” এ দিনের অনুষ্ঠানে মানসবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা, যুগ্ম-বিডিও চিরঞ্জীব রায় প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy