তৃণমূল পরিচালিত পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ সদস্যের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল। সম্প্রতি প়ঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিপিকা জানা হাজরার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে সহ-সভাপতি সুজিত রায়-সহ দলেরই একাংশ সদস্য। শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটির জন্য তলবি সভা ডাকা হয়। ২৩-০ ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। ঘটনায় যুব তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি পদ থেকে আনিসুর রহমানকে সরানো হয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী বলেন, ‘‘আনিসুর রহমানকে জেলা যুব সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে। ওই পদে কে পুনর্বহাল হবে তা এখনও ঠিক হয়নি।’’
৪০ আসন বিশিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের ৩০ জন ও বামেদের ১০ জন সদস্য রয়েছেন। এ দিনের তলবি সভায় তৃণমূলের ২৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। লিপিকাদেবী-সহ ৭ জন তৃণমূলের সদস্য গরহাজির ছিলেন। সভায় ১০ জন বাম সদস্যও উপস্থিত ছিলেন না। ফলে কোনও বিরোধিতা ছাড়াই এ দিন অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়।
লিপিকাদেবীর বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনার ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে ছিলেন শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব। দলের এক সূত্রে খবর, এ দিনের তলবি সভায় তৃণমূল সদস্যদের যেতে নিষেধ করেছিলেন ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব। যদিও সেই নিষেধ উপেক্ষা করেই সুজিতবাবু-সহ ২৩ জন সদস্য তলবি সভায় হাজির হন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
লিপিকাদেবীর দাবি, ‘‘দলের জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সভায় দলীয় সদস্যদের অনুপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী আজ ওই সভায় অনুপস্থিত ছিলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘উপস্থিত সদস্যদের নিয়ে সভায় অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে শুনেছি। এরপর দলের জেলা নেতৃত্ব যা নির্দেশ দেবেন মেনে চলব।’’ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুজিতবাবুর দাবি, ‘‘অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ডাকা সভায় না যাওয়ার জন্য জেলা নেতৃত্বের নির্দেশিকা আমি পাইনি। এ দিন সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থনে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়েছে।’’
সুজিতবাবুর আরও দাবি, ‘‘অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগেই দলের জেলা সভাপতি লিপিকাদেবীকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। লিপিকাদেবী সেই নির্দেশ না মানায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য মিলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল।’’ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘ যা বলার রাজ্য নেতৃত্ব বলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy