খড়্গপুর স্টেশন।—ফাইল চিত্র।
ট্রেন ধরার আগে কিছু খেলে ভাল হত। কিন্তু হাতের কাছে স্টল নেই। বা স্টল থাকলেও অনেকটা দূরে, অতদূর গেলে ছেড়ে দিতে পারে ট্রেন। এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি অনেকেরই আছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এ বার স্টেশনে আরও বেশি স্টল ভাড়া দেবে রেল।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত রেল অনুমোদিত সংস্থা আইআরসিটিসি-র মাধ্যমে বিভিন্ন স্টেশনে ক্যাটারিং স্টল ভাড়া দেওয়া যেত। কিন্তু এখন ৫ বছরের মেয়াদে এমন স্টলের অনুমোদন দিচ্ছেন স্বয়ং রেল কর্তৃপক্ষ। শুধু শুকনো খাবার বা জল নয়, রান্না করা খাবারও এই ক্যাটারিং স্টল থেকে বিক্রির ছাড়পত্র মিলছে। প্ল্যাটফর্মের ওপর ৬০ বর্গফুট জায়গার স্টল ভাড়া দিচ্ছে রেল। স্টলের জন্য স্টেশন অনুযায়ী বছরে ভাড়া নেবেন রেল কর্তৃপক্ষ। এই তালিকায় খড়্গপুর, পাশকুড়া, মেদিনীপুর, সাঁতরাগাছি, ঝাড়গ্রাম, মেচেদা, দিঘা, তমলুকের মতো বড় স্টেশনের পাশাপাশি রয়েছে হাউর, বেলদা, গিরিময়দান, টিকিয়াপাড়া, ঘাটশিলার মতো ছোট স্টেশনও।
রেল সূত্রে খবর, যে সব স্টেশনে ইতিমধ্যেই ক্যাটারিং স্টল রয়েছে সেখানে আরও স্টল বাড়ানো এবং যেখানে স্টল নেই সেখানে নতুন করে স্টল তৈরি করা হবে। তবে রেলের নকশা অনুযায়ী স্টল তৈরি করতে হবে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাকে। গোটা বিষয়টি দেখছে রেলের কমার্শিয়াল বিভাগ। হাওড়া-মেদিনীপুর, পাঁশকুড়া-হলদিয়া, মেচেদা-দিঘা, খড়্গপুর-ভদ্রক শাখার প্রায় ৩৬টি স্টেশনে প্রায় ৫০টি ক্যাটারিং স্টল খুলতে চলেছে রেল। ওই সমস্ত স্টল থেকে শুধু শুকনো খাবার নয়, বিরিয়ানি, মাংস, ফ্রায়েড রাইসের মতো খাবারও বিক্রি করা যাবে বলে জানা গিয়েছে।
খড়্গপুরের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “বড় রেস্তরাঁর ক্ষেত্রে আইআরসিটিসি সরাসরি বরাত পাচ্ছে। আমরা ছোট স্টলের জন্য পর্যায়ক্রমে বরাত দিচ্ছি। চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই প্রতিটি স্টেশনে স্টল তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। সেই অনুযায়ী এ বার আমরা একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক স্টলের জন্য আগামী সপ্তাহেই টেন্ডার ডাকব।”
টেন্ডারে যোগদানের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি বেধে দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। সেই নিয়ম অনুযায়ী, যে সংস্থা ক্যাটারিং ব্যবসার সঙ্গে ন্যূনতম তিন বছর যুক্ত রয়েছে তাঁরা এই টেন্ডারে যোগ দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে যাচাই করা হবে সংস্থার ফুড সেফটি শংসাপত্র থেকে ইনকাম ট্যাক্সের যাবতীয় নথি। ক্যাটারিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের আশঙ্কা, এতে যাঁদের ইতিমধ্যেই স্টল রয়েছে এমন লোকের স্টল পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। এ ক্ষেত্রে কেন নতুনদেরও এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ নতুনরা এমন স্টল পেলে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। খোদ কমার্শিয়াল বিভাগের এক আধিকারিক বলছিলেন, “যদি নতুনরা টেন্ডারে যোগদানের সুযোগ পায় তবে ব্যবসায় স্বচ্ছতা আসবে। সঙ্গে পুরনোদের মধ্যেও প্রতিযোগিতা দেখা দেবে।” যদিও কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “এটা তো রেল বোর্ডের বেঁধে দেওয়া নিয়ম। তাই নিয়ম লঙ্ঘন তো আমরা করতে
পারব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy