অচল: মেচেদা স্টেশনের ছ’টি এটিভিএম মেশিনের মধ্যে খারাপ পাঁচটিই। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা যাওয়ার জন্য মেচেদা থেকে হাওড়াগামী লোকাল ট্রেন ধরার জন্য টিকিট কাটতে গিয়েছিলেন বিধান মাইতি।
কিন্তু বুকিং কাউন্টারের সামনে তখন যাত্রীদের লম্বা ভিড়। লাইনে দাঁড়িয়ে যতক্ষণে টিকিট পেলেন ততক্ষণে ট্রেন ছেড়ে চলে গিয়েছে। অগত্যা পরের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা। বিধানবাবুর আক্ষেপ, ‘‘টিকিট কাটতে যদি বুকিং কাউন্টারেই আধ ঘণ্টা সময় চলে যায় তবে বাড়ি থেকে কত সময় হাতে নিয়ে বের হব?’’
আদতে এমন অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই মেচেদার মতো ব্যস্ত স্টেশন দিয়ে যাতায়াতের জন্য দ্রুত টিকিট কাটার ব্যবস্থা করতে চালু হয়েছিল অটোমেটিক টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (এটিভিএম)। স্বয়ংক্রিয় ওই যন্ত্র ব্যবহার করে দ্রুত টিকিট কাটার জন্য চালু করা হয়েছিল এটিভিএম কার্ড। নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে ওই কার্ড কিনে তা ব্যবহার করে সর্বাধিক ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের টিকিট কাটা যায়। মেচেদা স্টেশনে বসেছিল এমনই ৬টা এটিভিএম। কিন্তু চালুর কয়েক মাস পরেই মেশিনগুলি একে একে বন্ধ হতে শুরু করে বলে অভিযোগ। বর্তমানে ৫ টি এটিভিএম মেশিন অচল হয়ে রয়েছে। মাত্র একটি মেশিন চালু রয়েছে। ফলে বুকিং কাউন্টারে গিয়ে যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর হয়রানি রয়েই গিয়েছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, এটিভিএম মেশিন চালু করায় কাউণ্টারের সামনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার ঝামেলা কমেছিল। এতে বুকিং কাউন্টারের উপর চাপও কমেছিল। কিন্তু অধিকাংশ এটিভিএম দীর্ঘদিন ধরে অচল থাকায় আগের মত হয়রানি চলছে। সমস্যার কথা স্বীকার করে মেচেদার স্টেশন ম্যানেজার শম্ভুনাথ ঘোড়াই বলেন, ‘‘মেশিনগুলি বন্ধ থাকায় বুকিং কাউন্টারের উপর চাপ বেড়েছে। মেশিনগুলি পুনরায় চালুর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’
যাত্রীদের সমস্যার কথা জানেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ডিভিশনাল রেলওয়ে কনজিউমার্স কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য শ্যামসুন্দর পাখিরা। শ্যামসুন্দরবাবুর কথায়, ‘‘এটিভিএম মেশিনগুলি পুনরায় চালুর জন্য ব্যবস্থা নিতে রেল দফতরের বৈঠকে একাধিকবার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দেখা যাক, সমস্যা কবে মেটে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy