Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

ঘর বাঁচাতে জয়ীদের বিজেপি পাঠাচ্ছে ভিন্‌ রাজ্যে

সব দিক দেখে পঞ্চায়েত ভোটে দলের জয়ী প্রার্থীদের ভিন্ রাজ্যে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল বিজেপি। কাউকে পাঠানো হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে, কাউকে ওডিশায়। বিজেপি সূত্রে খবর, কেশিয়াড়ি ও গোয়ালতোড়ে জয়ী প্রার্থীদের অনেকে বৃহস্পতিবারই ঝাড়খণ্ডে চলে গিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৮ ০১:১০
Share: Save:

উপ-নির্বাচনের ফলের পরে দেশ জুড়ে জোরালো হচ্ছে বিজেপি- বিরোধী হাওয়া। এই সময়ে এ রাজ্যে তৃণমূল দল ভাঙাতে পারে বলে আশঙ্কা বিজেপি-র। সব দিক দেখে পঞ্চায়েত ভোটে দলের জয়ী প্রার্থীদের ভিন্ রাজ্যে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল বিজেপি। কাউকে পাঠানো হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে, কাউকে ওডিশায়। বিজেপি সূত্রে খবর, কেশিয়াড়ি ও গোয়ালতোড়ে জয়ী প্রার্থীদের অনেকে বৃহস্পতিবারই ঝাড়খণ্ডে চলে গিয়েছেন। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকেই তাঁদের সেখানে থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে দলীয় নেতৃত্ব অবশ্য সামনাসামনি তেমন কিছু বলতে নারাজ। পঞ্চায়েত ভোটে দলের যাঁরা জিতেছেন, তাঁদের অনেককে না কি ভিন্ রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে? একেবারে প্রধান নির্বাচনের সময় তাঁরা ফিরবেন? সদুত্তর এড়িয়ে বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, “প্রয়োজনে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। আত্মগোপনও করতে হয়।’’ তাঁর সংযোজন, “জেতা প্রার্থীদের কেউ কেউ ভিন্ রাজ্যে আত্মীয়- পরিজনের বাড়িতে গিয়েছেন বলে শুনেছি! দলকে জানিয়েই গিয়েছেন।’’ শমিতবাবুর কথায়, “পুলিশ আর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মিলে যা শুরু করেছে তাতে এখন আত্মগোপন করা ছাড়া উপায়ও নেই।’’

শাসক দলের হয়ে পুলিশই দল ভাঙাতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। দিন কয়েক আগে মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিও করেছে তারা। বিজেপির দাবি, দলের জয়ী প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে পুলিশ। ভয় দেখাচ্ছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার অবশ্য বক্তব্য, “পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভিত্তিহীন।”

জেলার জঙ্গলমহলে এ বার তৃণমূলের ভাল ফল হয়নি। ২১টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। জেলায় দলের ৩৮৯ জন পঞ্চায়েত সদস্য জিতেছেন। তৃণমূল অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, ওই সংখ্যক পঞ্চায়েত বিজেপি-র দখলে থাকবে না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির ঘোষণা, “সংরক্ষণের কারণে ওই ২১টির মধ্যে ৫-৬টিতে তৃণমূলের প্রধান হবে। বাকি যেগুলো থাকছে, তার মধ্যেও কয়েকটি তৃণমূলের হবে।’’ কোন অঙ্কে? তৃণমূলের জেলা সভাপতির জবাব, “অনেকে দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।’’ এখানেই দল ভাঙানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। মেদিনীপুর গ্রামীণের বিজেপির এক জয়ী প্রার্থীর কথায়, “জুলুম শুরু হয়েছে। আমিও মাস খানেক বাইরে চলে যাবো বলে ভাবছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE