দেখানো হচ্ছে ইস্তফাপত্র।
জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছিলই। চিকিৎসকদের গণ-ইস্তফার ঢেউ এসে পৌঁছল মেদিনীপুর মেডিক্যালেও। শনিবার ইস্তফা দিয়েছেন এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৬ জন চিকিৎসক। মেডিক্যালের শিশু বিভাগে ১১ জন চিকিৎসক রয়েছেন। ১১ জনই ইস্তফা দিয়েছেন বলে হাসপাতালের এক সূত্রে খবর। ফলে, আরও জটিল হতে চলেছে স্বাস্থ্য-সঙ্কট। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু মানছেন, ‘‘২৬ জন চিকিৎসক এ দিন ইস্তফা দিয়েছেন।’’ একসঙ্গে এতজন চিকিৎসক ইস্তফা দেওয়ায় হাসপাতালের পরিষেবা তো আরও ব্যাহত হবে? অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘পরিষেবা সচল রাখার সব রকম চেষ্টা চলছে।’’
শনিবার সকালে দু’দিনের এক শিশুর মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন মৃত শিশুর পরিজনেরা। মেডিক্যালের এসএনসিইউয়ের ইনচার্জ, শিশু- চিকিৎসক প্রবোধচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘এই ইউনিটে জুনিয়র ডাক্তাররা থাকে না। এখানে সব সময়ে সিনিয়র ডাক্তাররা থাকেন। শিশুটিকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টাও হয়েছে।’’ তবে ঘটনাচক্রে, এর পরপরই গণ-ইস্তফা দেন মেডিক্যালের শিশু বিভাগের চিকিৎসকেরা। মেদিনীপুর মেডিক্যালের শিশু-চিকিৎসক দিব্যজ্যোতি দে বলেন, ‘‘আমরা অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছি।’’ সমস্যার কি সমাধান হবে না? দিব্যজ্যোতি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যদি চান, সমস্যার সমাধান হবে।’’
এ দিনও জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি অব্যাহত ছিল। মেডিক্যালের জরুরি বিভাগের সামনেই অবস্থান- বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা। তবে জরুরি বিভাগে পরিষেবা সচল ছিল। বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগও খোলা ছিল। তবে অন্তর্বিভাগে রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। একসঙ্গে ২৬ জন চিকিৎসক ইস্তফা দেওয়ায় হাসপাতালের অন্তর্বিভাগের পরিষেবাও এ বার ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। সেই ক্ষেত্রে বহির্বিভাগের পরিষেবাও ব্যাহত হতে পারে।
এ দিন জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে এসেছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকেরাও। তাঁরা আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে যান। শনিবার বিকেলে মেদিনীপুরে মিছিলও করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও মিছিলে ছিলেন। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে, ‘আমরা কারা? বহিরাগত’, ‘লড়ছে কারা? বহিরাগত’, ‘জিতবে কারা? বহিরাগত’। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শনিবার মেদিনীপুরে মিছিল, সভা করেছে ডিএসও। শনিবার কালো ব্যাজ পড়ে মিছিল করলেন গোয়ালতোড়ের কেওয়াকোল গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা। যোগ দেন হাসপাতালের অন্তর্বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মী ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy