Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পুনর্বাসন পেলেন কর্মাধ্যক্ষরা

এই আসন বন্টন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে কম কোন্দল হয়নি জেলা তৃণমূলে। কেউ কেউ টিকিট পেতে কলকাতায় গিয়ে দিনভর পড়েও থেকেছেন। সে সব অবশ্য মানতে নারাজ শাসক দল।

প্রচার: শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার। দেওয়াল লিখনে হাত লাগিয়েছেন কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা সেনগুপ্ত (ডান দিকে)। আনন্দপুরে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

প্রচার: শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার। দেওয়াল লিখনে হাত লাগিয়েছেন কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা সেনগুপ্ত (ডান দিকে)। আনন্দপুরে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৪২
Share: Save:

জট কাটল খোদ দলনেত্রীর হস্তক্ষেপে। পুনর্বাসন পেলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সব কর্মাধ্যক্ষই। যাঁদের নিজের আসন সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে, তাঁরা অন্য আসন থেকে তৃণমূলের টিকিট পেলেন।

অথচ, এই আসন বন্টন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে কম কোন্দল হয়নি জেলা তৃণমূলে। কেউ কেউ টিকিট পেতে কলকাতায় গিয়ে দিনভর পড়েও থেকেছেন। সে সব অবশ্য মানতে নারাজ শাসক দল। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “জেলা পরিষদের প্রার্থী নিয়ে কোনও রকম কোনও সমস্যা হয়নি।’’ একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এ ক্ষেত্রে প্রার্থী ঠিক করেছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। জেলা থেকে কোনও রকম সুপারিশ যায়নি। পুনর্বাসন পেয়ে খুশি নিজের আসন হারানো কর্মাধ্যক্ষেরা। জেলার এক
কর্মাধ্যক্ষের কথায়, “দলনেত্রী সব দিকে নজর রাখেন। এ ঘটনায় আবার তা স্পষ্ট হল।’’

পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা হতেই টিকিটের দৌড় শুরু হয়েছিল তৃণমূলের অন্দরে। গতবার নির্বাচিত অনেকে এ বার সংরক্ষণের কোপে পড়ে অন্য আসনে প্রার্থী হতে চাইছিলেন। শুধু গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা পঞ্চায়েত সমিতি নয়, এক ছবি দেখা যায় জেলা পরিষদেও। সংরক্ষণের কোপে পড়েছিলেন জেলা পরিষদের একাধিক কর্মাধ্যক্ষও। যেমন নির্মল ঘোষ, শৈবাল গিরি, সূর্যকান্ত অট্ট প্রমুখ। নির্মল কৃষি-সেচ কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। শৈবাল পূর্তের। সূর্যকান্ত মত্স্য-প্রাণিসম্পদের। সংরক্ষণের কোপে নিজের পুরনো আসনে দাঁড়াতে পারার কথা ছিল না তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহ- সভাধিপতি অজিত মাইতিরও। তৃণমূল সূত্রের খবর, সব দেখে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, জেলা কর্মাধ্যক্ষদের টিকিট দিতেই হবে। নিজের আসন সংরক্ষিত হলে অন্য আসনে দিতে হবে। সেই মতো পুনর্বাসনের রূপরেখা তৈরি করা হয়। পরে তা রাজ্য নেতৃত্ব অনুমোদন করেন।

সেই পুনর্বাসন অনুযায়ী খড়্গপুর গ্রামীণের নির্মল ঘোষ প্রার্থী হচ্ছেন গড়বেতা থেকে। নারায়ণগড়ের সূর্যকান্ত অট্ট প্রার্থী হচ্ছেন চন্দ্রকোনায়, দাঁতনের শৈবাল গিরি চন্দ্রকোনা রোডে, অজিত মাইতি প্রার্থী হচ্ছেন খড়্গপুর গ্রামীণ থেকে। এটা অবশ্য অজিতবাবুর নিজের এলাকা। চন্দ্রকোনা রোডের আরেক আসনে প্রার্থী হচ্ছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, গড়বেতায় কাবেরী চট্টোপাধ্যায়। অমূল্য মাইতি সবং থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন, শ্যামপদ পাত্র, তপন দত্ত দাসপুর থেকে, জরিনা ইয়াসমিন ঘাটাল থেকে। টিকিট পেয়েছেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরিও। তিনি দাঁতন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।

গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা পঞ্চায়েত সমিতিতে কি এ ভাবেই সমাধানসূত্র মিলবে? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “এই সময়ের মধ্যে দল অনেক বেড়েছে। ফলে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যাশাও বেড়েছে। সব সমস্যারই সমাধান সম্ভব। এটা বলতে পারি, কোথাও দলের কেউ অখুশি হবেন না!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE