Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

পড়ুয়ারা স্কুলে আসছে তো, জানতে বায়োমেট্রিক

ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হারে শৃঙ্খলা আনতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন দাসপুরের হাটসরবেড়িয়া বিধান চন্দ্র রায় স্মৃতি শিক্ষা নিকেতন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দাসপুর শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৮ ০২:২৩
Share: Save:

সরকারি-বেসরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠানে হাজিরায় নজর রাখতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কিছু স্কুলে শিক্ষকদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা রয়েছে। এ বার স্কুলের পড়ুয়াদেরও বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু হল। ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হারে শৃঙ্খলা আনতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন দাসপুরের হাটসরবেড়িয়া বিধান চন্দ্র রায় স্মৃতি শিক্ষা নিকেতন।

নিয়মানুযায়ী একটি শিক্ষাবর্ষে ৭৫ শতাংশ হাজিরা থাকা বাধ্যতামূলক। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্ররা স্কুলে আসার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুলে আসছে না, ইদানীং একাধিক এমন অভিযোগ আসে। বেশ কিছু ছাত্র নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্কুল থেকে চলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছিল। মাঝে মধ্যে অভিভাবকেরা স্কুলে এসে ছেলের খোঁজ করছেন, এমন নজিরও রয়েছে। স্কুলে এসে নালিশও জানিয়েছেন অনেকে। এতে স্কুলের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছিল।

এই প্রবণতা বন্ধ করতে ও হাজিরা সুনিশ্চিত করতেই স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মাস তিনেক ধরেই প্রস্তুতি চলছিল। স্কুলের শিক্ষক ও পরিচালন কমিটির বৈঠকও হয় দফায় দফায়। তারপরই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। শুধু পড়ুয়াদের জন্যই নয়, শিক্ষকদের হাজিরাতেও একই নিয়ম চালু করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

দাসপুরের হাটসরবেড়িয়া হাইস্কুলে মোট ১ হাজার ৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রী। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ফল ভালই হয়।

কিন্তু পড়ুয়াদের একাংশ ক্লাসে গরহাজির থাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। তাই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ক’দিন আগেই স্কুলে ছ’টি যন্ত্র এসেছে। তাতে পড়ুয়াদের নাম ও রোল নম্বর লোড করা হয়। এরপরই বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করা হয়। পড়ুয়াদের জন্য পাঁচটি ও শিক্ষকদের জন্য একটি মেশিন আনা হয়েছে। পুরো বিষয়টি প্রধান শিক্ষক তাঁর ঘর থেকেই
তদারকি করছেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন ঘটক বলছেন, “দেখা যাচ্ছিল কিছু ছাত্র বাড়ি থেকে বেরিয়েও স্কুলে আসছে না। কেউ কেউ আবার মাঝপথে বেরিয়ে যাচ্ছে। এই প্রবণতা ভয়ঙ্কর। সেই কারণেই বায়োমেট্রিক হাজিরা। কোনও অনিয়ম দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে।” পরিচালন কমিটির সভাপতি ক্ষুদিরাম পণ্ডিতের কথায়, “সহমতের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। অভিভাবকেরাও এতে সায় দিয়েছেন।” জেলা স্কুল পরিদর্শক অমর কুমার শীলও বলছেন, “এটা খুব ভাল উদ্যোগ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bio metric School Student Attendance
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE