একটি ব্লক তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক দীনেন রায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র। অন্য ব্লকটি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির বাড়ির এলাকা। খড়্গপুর ১ ও খড়্গপুর ২— এই দু’টি ব্লকেই এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে থাবা বসিয়েছে বিজেপি। প্রত্যাশা মতোই জয় পাওয়া পঞ্চায়েতে বোর্ডও গড়ল তাঁরাই।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই দুই ব্লকে সিপিএম বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল। তবে এ বার উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। খড়্গপুর-১ ব্লকের বড়কোলা, অর্জুনী ও হরিয়াতাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড়কোলা ও অর্জুনী বামেদের দখলে থাকলেও পরে তা দখল করেছিল তৃণমূল। আর হরিয়াতাড়া ছিল তৃণমূলেরই। সেখানেও এ বার পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। যদিও নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে বিজেপির পঞ্চায়েত দখল প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান দীনেনবাবু বলেন, “সিপিএম এখন বিজেপি হয়েছে। আগে সিপিএমের দুর্গ ছিল ওই এলাকা। এ বার আমরা বরং অনেক বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত পেয়েছি। এমনকী গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে কোনও অশান্তি হতে দিইনি। তাই বিজেপি সুষ্ঠুভাবে বোর্ড গড়েছে।”
যদিও এ নিয়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অমিত সাউ বলেন, “অনুন্নয়ন ও অত্যাচারের শিকার হওয়া মানুষ এখন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে।”
তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির বাড়ির এলাকা খড়্গপুর-২ ব্লকে দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির বোর্ড গড়েছে, যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে শাসকদলের অন্দরেও।
এক সময় সিপিএমে দখলে থাকা খড়্গপুর-২ ব্লকের কালিয়াড়া-২ ও সাঁকোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এ বার বোর্ড গড়েছে বিজেপি। যদিও কালিয়াড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ও বিজেপি সমসংখ্যক আসন পাওয়ায় টসে জিতে বোর্ড গড়েছে বিজেপি। যদি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিতবাবু বলছেন, “আমরা বিজেপির এই বোর্ড গঠনকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। বিজেপি আসলে সিপিএমের শক্তিতে পুষ্ট।’’
যদিও বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রতন দত্ত বলেন, “মানুষ বিজেপিকে চাইছে তাই বিজেপি বোর্ড গঠন করতে পেরেছে। গুন্ডারাজ কায়েম করা তৃণমূল মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মুছে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy