ছবি: সংগৃহীত।
দলের কেশপুরের নেতাদের নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনাচক্রে, রবিবার সকালেই কেশপুরের দোগাছিয়ায় প্রহৃত হলেন এক বিজেপি কর্মী। অভিযোগ তৃণমূলের লোকেদের বিরুদ্ধে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘দলের কর্মীর ওপর পরিকল্পনামাফিক হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূলের লোকেরা কেশপুরে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির পাল্টা দাবি, ‘‘‘দোগাছিয়ায় একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। বিজেপির লোকেরাই ওখানে অশান্তি করছে। গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ করতে শুরু করেছেন।’’
গত কয়েকদিন ধরে কেশপুরের কয়েকটি গ্রামে অশান্তি হচ্ছে। সংঘর্ষে জড়াচ্ছে তৃণমূল- বিজেপি। রবিবার সকালে কেশপুরের দোগাছিয়ায় এক বিজেপি কর্মী প্রহৃত হন। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রহৃত বিজেপি কর্মীর নাম শেখ মুসলেম আলি। এ দিন সকালে তিনি যখন বাজার যাচ্ছিলেন তখন একদল তৃণমূল কর্মী তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। মুসলেমকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করতে হয়। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশের আশ্বাস, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে আনন্দপুরের বীরহিমবাড়েও তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ হয়েছিল। তৃণমূলের দাবি, সেখানে বিজেপির লোকেদের হামলায় তাদের তিনজন জখম হয়েছেন। বিজেপির পাল্টা দাবি ছিল, তৃণমূলের লোকেরাই শুরুতে হামলা চালিয়েছিল। গত শুক্রবার রাতে আবার তাতারপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের তিনজন জখম হন। এক নেতার দেহরক্ষীও মার খান। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেশপুরে অশান্তিতে কেন ছেদ আসছে না? জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কিছু ঘটনা ঘটছে ঠিকই। তবে অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে।’’
তৃণমূল- বিজেপি, দু’পক্ষের কেউ অবশ্য ‘জমি’ ছাড়তে নারাজ। শনিবারই কেশপুরে আসার কথা ছিল বিজেপির তরফে এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ- পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের। বৃষ্টির জেরে মেননের শনিবারের কর্মসূচি স্থগিত হয়েছে। শীঘ্রই কেশপুরে কর্মসূচি হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy