Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

নজরে নির্বাচন, বিধানসভা ভিত্তিক পর্যবেক্ষক বিজেপির

‘পাখির চোখ’ বিধানসভা। তাই আর সময় নষ্ট না করে সংগঠন গোছানোর কাজ শুরু করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে দলের বর্ধিত সভা থেকে বিধানসভা এলাকা ভিত্তিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। আপাতত, তাঁরা এলাকায় দলের কাজকর্মের উপর নজর রাখবেন। জেলায় নিয়মিত রিপোর্ট দেবেন। বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৫ ০১:১০
Share: Save:

‘পাখির চোখ’ বিধানসভা।

তাই আর সময় নষ্ট না করে সংগঠন গোছানোর কাজ শুরু করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে দলের বর্ধিত সভা থেকে বিধানসভা এলাকা ভিত্তিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। আপাতত, তাঁরা এলাকায় দলের কাজকর্মের উপর নজর রাখবেন। জেলায় নিয়মিত রিপোর্ট দেবেন। বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষ। বৈঠক শেষে দিলীপবাবু বলেন, “বৈঠকে সাংগঠনিক কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

কী ভাবে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে? দলীয় সূত্রে খবর, কেশিয়াড়ির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুমন্ত মণ্ডলকে, নারায়ণগড়ে সৌমেন তেওয়ারি, মেদিনীপুরে শুভজিত্‌ রায়, শালবনিতে ধীমান কোলে, খড়্গপুরে(গ্রামীণ) গৌতম ভট্টাচার্য, ঘাটালে বিকাশ দে, গড়বেতায় রাজীব কুণ্ডুকে পর্যবেক্ষক হিসেবে রাখা হয়েছে। গত লোকসভা ভোটের পর যাঁরা বিজেপিতে এসেছেন, তাঁদেরও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন নেতৃত্ব। যেমন প্রাক্তন সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যকে পিংলার পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। সুকুমার ভুঁইয়াকে ডেবরার, গৌর ঘোড়ইকে সবংয়ের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে।

এ দিন মেদিনীপুরে বিজেপি-র জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন মণ্ডল সভাপতিরা, ছিলেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বাবলু বরম। বিভিন্ন এলাকার সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। স্থানীয় নেতৃত্বের কথা শোনার পর রাজ্য প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন। আগামী দিনে দলকে আরও বেশি আন্দোলনমুখী করার চেষ্টা চলছে বলে জানান দিলীপবাবু। তাঁর কথায়, “রাজ্যে যা চলছে তাতে আরও ব্যাপক প্রতিবাদ-প্রতিরোধ হওয়া উচিত।”

খড়্গপুরে এ বার পুরভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হয়েছে। ৩৫টি আসনের খড়্গপুরে বোর্ড গড়ার ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১৮। ৭টি আসন দখলে থাকায় নির্ণায়ক ভূমিকায় রয়েছে বিজেপি। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস বা তৃণমূলকে সমর্থনের প্রসঙ্গে দিলীপবাবুর তাত্‌পর্যপূর্ণ মন্তব্য, “এখনই কিছু ভাবছি না। কে সমর্থন চাইছে, কী শর্তে চাইছে, আগে তা দেখতে হবে।” এ দিকে বুধবার মেদিনীপুরে রেলশহরের কাউন্সিলরদের নিয়ে এক বৈঠক হয়েছে। কেশপুর এবং খড়্গপুর বিধানসভার পর্যবেক্ষক হিসেবে অবশ্য কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। শীঘ্রই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE