Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ইট-লাঠি-স্টান গ্রেনেড

সোমবার দুপুরে এমনই ছবি দেখা গিয়েছে মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট মোড়ের অদূরে।

বিজেপির অভিযানের পরে এসপি অফিসের সামনের চত্বর। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

বিজেপির অভিযানের পরে এসপি অফিসের সামনের চত্বর। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৯ ০১:১৩
Share: Save:

রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে কয়েকশো চটি-জুতো। দু’দিকের সব দোকানের ঝাঁপ বন্ধ। যে যে দিকে পারছেন ছুটে পালাচ্ছেন।

সোমবার দুপুরে এমনই ছবি দেখা গিয়েছে মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট মোড়ের অদূরে। কিছুক্ষণ আগেই পুলিশ-বিজেপি সংঘাতে ধুন্ধুমার হয়েছে। চারপাশে তখন পুলিশের টহল চলছে। বিজেপি কর্মীরা কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন কি না দেখছে পুলিশ। মাথায় গেরুয়া ফেট্টি দেখলেই ‘আটক’ করছে। পুলিশের গাড়িতে তুলছে।

বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়, দলের পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শমিত দাশ, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে এ দিন এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে হাজির ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষও। এই অভিযান ঘিরেই এ দিন দুপুরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মেদিনীপুর শহরের একাংশ। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসও বেরোয়নি। আতঙ্কে তখন দিশাহীন দশা পথচলতি মানুষজনের।

এ দিন শহরের চারটি জায়গা থেকে মিছিল করে বিজেপি কর্মীরা এলআইসি মোড়ে আসেন। সেখানে সভা হয়। এলআইসি মোড়ের অদূরেই কালেক্টরেট। পাশেই এসপি অফিস। বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় এসপি অফিসের অদূরে পুলিশের ব্যারিকেড ছিল। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। লাঠিচার্জ, স্টান গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান— সবই ব্যবহৃত হয়। পুলিশের দাবি, তাদের আক্রমণ করা হয়েছে। তাই আত্মরক্ষার্থে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। বিজেপির দাবি, পুলিশ বিনা প্ররোচনায় নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে।

এসপি অফিস চত্বর এই এলাকা মেদিনীপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম। সোমবার দুপুরে সেই এলাকা কার্যত বন্‌ধের চেহারা নেয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বছর চারেক আগে এক দিন ডিএম অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। তখন জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন ভারতী। সে দিনও পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বিচারে লাঠিচার্জের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিজেপি। পুলিশ সে দিন জলকামান ব্যবহার করেছিল।

সেই ভারতীই এ দিন বিজেপির আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন। বলছেন, ‘‘এতেই প্রমাণিত হয় গণতন্ত্র এখানে বিপন্ন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Midnapore Violence Agitation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE