—ফাইল চিত্র।
‘মানবিক’ প্রকল্পে প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেয় রাজ্য সরকার। সেই জন্য উপভোক্তার প্রয়োজন হয় প্রতিবন্ধী শংসাপত্র। ওই শংসাপত্রই জাল করে ভাতা তোলার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত। রামনগর-১ ব্লকের বসন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হিনাড়ি গ্রামের সম্প্রতি বিষয়টি সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে ব্লক প্রশাসন।
হিনাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় মাইতির বিরুদ্ধে ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে সরকারি ভাতা তোলার বিষয়ে একটি গণস্বাক্ষর করা অভিযোগপত্র ব্লক প্রশাসনে জমা পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সঞ্জয় শারীরিকভাবে সুস্থ, সবল। তবুও তিনি ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী বলে দাবি করে সরকারি প্রকল্পে ভাতা পাওয়ার জন্য নথি জমা দিয়েছেন। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ৩০ অগস্ট সঞ্জয়ের সরকারি ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি অভিযোগপত্র তারা পেয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের ‘মানবিক’ প্রকল্পে ভাতা পাওয়ার জন্য প্রতিবন্ধী শংসাপত্র জমা দিতে হয়। তার আগে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকের মাধ্যমে শারীরিক পরীক্ষা করিয়েই এই শংসাপত্র পেতে হয়। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তের শংসাপত্র কীভাবে তৈরি করা হয়েছিল, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি বিজেপির কর্মী। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি শংসাপত্র আদায় করে থাকতে পারেন বলে দাবি তাঁদের। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি (কাঁথি) অনুপ চক্রবর্তীর এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘অভিযুক্ত সঞ্জয় আমাদের দলের কেউ নয়। শাসকদল আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে।’’ অভিযুক্ত সঞ্জয়ের সঙ্গে অবশ্য এ দিন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সরকারের গাফিলতিতেই কি এ রকম কাণ্ড ঘটছে? এ ব্যাপারে স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘‘এতে প্রশাসনের কোনও দোষ নেই। ওই ব্যক্তিকে যদি ভুয়ো প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দেওয়া হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই শংসাপত্র দেওয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রশাসনের।’’ গোটা ব্যাপারে রামনগর-১ এর বিডিও আশিসকুমার রায় বলেন, ‘‘এলাকার বেশ কয়েকজন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগের তদন্ত করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy