ফের উত্তপ্ত ঘাটালের ইড়পালা। অভিযোগ, সোমবার রাতে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা গ্রামে ঢুকতেই তাঁদের হামলা চালায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। ঘটনায় ছ’জন আহত হয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। তাদের বক্তব্য, বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দলেই আহত হয়েছেন ছ’জন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক জমি দখলের লড়াই শুরু হয়েছে ইড়পালায়। বারেবারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে বিজেপি এবং তৃণমূল। মাস খানেক আগে ইড়পালায় তৃণমূলের একটি মিছিলের পর স্থানীয় একটি ক্লাবে ভাঙচুরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
ওই ক্লাবটি এলাকায় বিজেপি সমর্থিত ক্লাব বলেই পরিচিত। ওই ঘটনার পরই দু’পক্ষের গন্ডগোল প্রকাশ্যে আসে। গ্রামবাসীরা বিজেপির পক্ষ নেয়। টানা তিন-চারদিন ধরে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
দফায় দফায় ঘর ভাঙচুর হয়। লুঠপাটও চলে অবাধে। ঘটনায় দু’পক্ষের প্রায় ১৫-২০ জন জখম হয়েছিল। সে সময়ে তিরিশ গ্রামবাসী ঘরছাড়া হয়েছিলেন। সম্প্রতি দাসপুরের গৌরায় বিজেপি নেতা মুকুল রায় একটি সভা করেন। সভাতেই ওই ক্লাবের সম্পাদক অসিত মান্না-সহ ঘরছাড়া গ্রামবাসীরা বিজেপিতে যোগ দেয়। সোমবার রাতে তাঁরা গ্রামে ফিরতেই শুরু
হয় গন্ডগোল।
অভিযোগ, সোমবার রাতে গ্রামে ফেরা বিজেপি সমর্থকদের উপর আচমকাই হামলা চালায় তৃণমূল। মারধর করা হয় মহিলাদেরও। অভিযোগ, ঘর থেকে টেনে বার করে মাটিতে ফলে চলে মারধর। ঘটনায় আহত ছ’জনের মধ্যে পাঁচজনই মহিলা। তাঁদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর। তাঁর মাথায়
চোট লেগেছে।
বিজেপি-র ঘাটাল জেলা সভাপতি রতন দত্ত বলেন, “দলীয় সমর্থকদের মারধর এবং হুমকি দিয়ে বিজেপি-কে রোখা যাবে না। আমরাও লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। রাজনৈতিক ভাবেই এর মোকাবিলা করব।” তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝির দাবি, “ইড়পালায় বিজেপি-র কোন্দলের জেরেই দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়েছে। তৃণমূল যুক্ত নয়।” জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, “ ইড়পালার পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রয়েছে।”
সোমবার রাতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছয়। শুরু হয় পুলিশি টহল। মঙ্গলবার সকালেও এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, থমথমে পরিবেশ। এলাকার কার্যত দখল নিয়েছে পুলিশ। দলীয় কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইড়পালার পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy