আগুন নেভাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। ঘাটালে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
হঠাৎ বিকট শব্দ। তারপর নাগাড়ে ফাটল কয়েকশো চকলেট, গাছ বোমা।
বুধবার সকালে ঘাটাল শহরের আড়গোড়ায় বাজির দোকানে বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন দু’জন। দোকান মালিকের ছেলে সুভাষ দোলইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন। কী ভাবে এত নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছিল? ওই দোকানের কি আতসবাজি বিক্রির লাইসেন্স ছিল? পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “নিষিদ্ধ শব্দবাজি কী ভাবে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” দমকলের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, একসঙ্গে এত বাজি মজুতের ফলেই এই বিস্ফোরণ। দোকান মালিকের নামে মামলা হবে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, আড়গোড়ায় পরপর তিনটি বাজির দোকান রয়েছে। তারই একটিতে দুপুর ১২টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। ধোঁয়ায় ভর্তি হয়ে যায় এলাকা। আতঙ্কে এলাকার লোকজন ছোটাছুটি শুরু করেন। পাশাপাশি দোকানের মালিক-কর্মীরা দৌড়তে শুরু করেন। শাটার বন্ধ করতে গিয়েই বাজির দোকান থেকে কিছু একটা ছিটকে কপালে লাগে কাঠের দোকানের মালিক তাপস বেরার। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটাল হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘‘হঠাৎ বাজির শব্দ পাই। কিছু একটা মাথায় লাগল। এরপর কিছু মনে নেই।’’
কী ভাবে বিস্ফোরণ হল? দোকানের মালিক দীপা দোলই বলেন, “আমি দোকানে ছিলাম না। ছেলে ছিল। কী ভাবে বিস্ফোরণ হল বলতে পারব না।” পুলিশ ও দমকলের অনুমান, রান্না করতে গিয়ে অথবা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই এই বিস্ফোরণ। পুলিশ জানতে পেরেছে, দোকানে মজুত ছিল গাছ বোমা, জল বোমা, চকলেট বোমা। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, দোকানের সামনের-পিছনের দেওয়ালে ফাটল তৈরি হয়ে হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে শাটার। দরজা-জানলা পুড়ে ছাই। ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার এবং অন্য আসবাব। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথম বিস্ফোরণ হয় দীপাদেবীর দোকানে। সেটি থেকে আগুন ছড়ায় পাশের বিশ্বনাথ দোলইয়ের বাজির দোকানেও।
শহরবাসীর একাংশের প্রশ্ন, থানার এত কাছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত রইল, আর তা জানতেও পারল না পুলিশ!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy