প্রতীকী চিত্র
জঙ্গলের মধ্যে এক মহিলার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হল পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির খামারবাড়ে। মৃতার নাম নীচু মাহাতো (৫২)। তাঁর পরিজনদের অভিযোগ, নীচুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মানছে, ঘটনাটি খুনেরই। খুনের আগে মহিলার উপরে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই মহিলার পরিজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘শালবনির ঘটনার তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতের নাম দীপু হেমব্রম। বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের বাড়ি খামারবাড়ের পাশের গ্রামে। রাতে ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন কুড়িয়ে পায় পুলিশ। ওই ফোনটি না কি ধৃত দীপুরই। সেই সূত্রে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের অনুমান, জঙ্গলে একা পেয়েই মহিলার উপরে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে অভিযুক্ত। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে।
ওই মহিলার পরিজনেরা জানান, শনিবার দুপুরে নীচু জঙ্গলে ছাগল চড়াতে যান। বিকেলে ঘরে ফেরেন। ঘরে ফিরে তিনি দেখেন, একটি ছাগল ফেরেনি। সেই ছাগলটিকে আনতে ফের জঙ্গলে যান তিনি। আর ঘরে ফেরেননি। সন্ধ্যা হলেও ঘরে ফিরছেন না দেখে পরিজনেরা তাঁর খোঁজ শুরু করেন। ওই জঙ্গলে গিয়ে তাঁর দেহের খোঁজ মেলে। খবর পেয়ে যান নীচুর ছেলে লেহুল মাহাতো। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। না হলে এ ভাবে বিবস্ত্র দেহ পড়ে থাকত না। আমরা অভিযুক্তের চরম শাস্তি চাই।’’ জঙ্গলে দেহ পড়ে থাকার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তদন্তকারীদের অনুমান, গলা টিপে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। পুলিশের এক সূত্রে খবর, মহিলার গলায় না কি অভিযুক্তের নখের দাগ রয়েছে। আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। আজ, সোমবার ধৃতকে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হবে। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে হেফাজতে চাইতে পারে পুলিশ। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীও সরব হয়েছেন। রবিবার শালবনি থানায় এসেও এই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ঘটনার সঙ্গে কি আরও কেউ জড়িত? পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, একজনই এই কাজ করেছে। আরও কেউ জড়িত কি না তদন্তে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার জেরে খামারবাড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy