বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। যা ঘিরে শোরগোল পড়ল এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, উত্তর কাঁথির বিধায়ক বনশ্রী মাইতির বাড়িতে মঙ্গলবার সকালে এক নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। দেবারতি সাহু (১৬) নামে ওই নাবালিকার মা গীতা সাহু বিধায়কের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। মায়ের সঙ্গেই দেবারতি বিধায়কদের পশ্চিম কুমারপুরের বাড়িতে থাকত। তিনতলা ওই বাড়ির একতলায় থাকত দেবারতি ও তার মা। দোতলায় থাকত বিধায়কের পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে নিজের ঘরে ঢুকে দীর্ঘক্ষণ ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে রেখেছিল দেবারতি। তাতে তার মায়ের সন্দেহ হয়। তিনি দরজায় ধাক্কা দেন। কিন্তু তাতে দরজা না খোলায় গীতাদেবী চিৎকার করেন। তা শুনে অন্যেরা ছুটে আসেন। দরজার ফাঁক দিয়ে তাঁরা দেবারতিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বামী বিচ্ছিন্না গীতার চার মেয়ে। দেবারতি মেজ। নিঃসন্তান বিধায়ক চার মেয়ে-সহ গীতাদেবীকে বাড়িতে এনে রেখেছিলেন। পরে তিন মেয়েকে কাঁথির একটি আশ্রমে রেখে আসেন গীতা। দেবারতি মায়ের কাছেই থাকত। সে বাহিরীর একটি স্কুল থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। দেবারতির মৃত্যু প্রসঙ্গে বনশ্রীদেবী বলেন, ‘‘কেন এমন করল, জানি না।’’ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy