খড়্গপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বোমার চিহ্ন।
পুরভোটের আগে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল খড়্গপুরে। শনিবার গভীর রাতে শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় একটি বাড়ির দরজার সামনে জোরাল বোমা বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, টাউন থানার পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা বোমা ও একটি বুলেটও উদ্ধার করেছে। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত ওই গৃহকর্তা চট্টোপাধ্যায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহর জুড়ে পুরভোটের বহু আগে থেকেই দুষ্কৃতী ও মদ্যপদের দৌড়াত্ম্য বাড়ছে। পুলিশ কিছু ক্ষেত্রে সমাজবিরোধীদের গ্রেফতার করছে বলে দাবি করছে। কিন্তু একের পর এক দুষ্কর্মের ঘটনায় পুলিশি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ দিকে যে বাড়ির সামনে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই বাড়ির ছেলে বুবুন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। জানা গিয়েছে দিন কয়েক আগেই ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে অবশ্য তিনি ছাড়া পান। এলাকার বাসিন্দারা কুখ্যাত রেল মাফিয়া শ্রীনুর সঙ্গে বুবুনের ঘনিষ্ঠতা নিয়েও চিন্তিত। তবে বুবুনের বাবা সাধনবাবুর বক্তব্য, ‘‘কিছুদিন আগেই আমাদের ওয়ার্ডে কিছু তৃণমূলের কিছু পতাকা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল। আমিও তৃণমূলের সমর্থক। আমার মনে সেই কারনেই আমার বাড়িতে বোমা মারা হয়েছে।’’ সেই সঙ্গে তিনি জানান, কাউকে দেখতে পাননি বলেই কোনও অভিযোগ জানাতে পারেননি।
এলাকার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বনাথ মাইতি অবশ্য বলেন, ‘‘সাধনবাবু আমাদের সমর্থক মাত্র। ওঁর ছেলেকে পুলিশ একবার গ্রেফতার করেছিল বলে শুনেছি। তাই ব্যক্তিগত আক্রোশেও ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।’’ প্রায় একই কথা জানিয়ে কংগ্রেসের প্রার্থী বিদায়ী কাউন্সিলর কল্যাণী ঘোষ বলেন, ‘‘সাধনবাবুর ছোট ছেলে দুষ্কর্মে জড়িত। আক্রোশের জেরেই এই কাজ বলে মনে হচ্ছে। ওই ছেলেটি আগেও ২১ দিন জেলে ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy