Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

বিদ্যালয় চত্বরে মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল কঙ্কাল! 

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, ভুবন কালুয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু হয়েছিল ১৯৫৭ সালে।  পুরনো ভবন জরাজীর্ণ হওয়ায় বেশ কয়েক বছর আগে সেটি ভেঙে নতুন পাকা ভবন নির্মাণ হয়।

ভুবনকালুয়া গ্রামে মাটি খোঁড়ার পর উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল। বুধবার। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস

ভুবনকালুয়া গ্রামে মাটি খোঁড়ার পর উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল। বুধবার। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৮ ০২:১৬
Share: Save:

শৌচাগার তৈরির জন্য স্কুল চত্বরে খোঁড়া হচ্ছিল মাটি। সেই সময়ই পাওয়া গেল মানুষের খুলি-সহ হাড়গোড়। বুধবার সকালে তমলুক থানার রাধামণি এলাকায় ভুবন কালুয়া গ্রামের ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, ভুবন কালুয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। পুরনো ভবন জরাজীর্ণ হওয়ায় বেশ কয়েক বছর আগে সেটি ভেঙে নতুন পাকা ভবন নির্মাণ হয়। সম্প্রতি ওই স্কুলে নতুন শৌচাগার তৈরির জন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ হয়। সেই মতো প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের পাশে এ দিন শৌচাগার তৈরির কাজ শুরু হয়। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, শ্রমিকেরা কয়েক ফুট মাটি খোঁড়ার পরেই মাথার খুলি-সহ হাড় বেরিয়ে আসে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। এলাকায় জড়ো হন আশেপাশের গ্রামের উৎসাহী বাসিন্দারাও।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তমলুক থানার পুলিশ। তারা ওই খুলি ও অস্থি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অনুমান এগুলি সেগুলি মানুষের অস্থি। এ বিষয়ে কেউ কোনও অভিযোগ জানাননি। হাড়গুলির ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য সুপারিশ করা হবে। তবে মৃতের পরিচয় জানার জন্য প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে।

ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘১৯৫৭ সালের পুরনো বাড়িটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙে যাওয়ার পর নতুন ভবন নির্বাণ হয়েছিল। পুরনো ভবনের একাংশে শৌচাগার তৈরির জন্য মাটি খোঁড়ার সময়েই কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। কীভাবে ওই কঙ্কাল এখানে এল, জানি না।’’ যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কাশীনাথ প্রামাণিকের বক্তব্য, ‘‘আগে এখানে গ্রামের শ্মশান ছিল বলেই জানি। শ্মশানে সৎকারের জন্য মৃতদেহ আনা হত। ওই হাড় তাঁদেরই কারও কি না, তার তদন্ত প্রয়োজন।’’

এ দিন ওই কঙ্কালের অংশ দেখে এলাকায় ভিড় জমে যায়। গণেশ পাঁজা নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘মাটির নীচ থেকে কঙ্কাল উদ্ধারের কথা শুনে এখানে এসেছি। এটি কোথা থেকে এল বুঝতে পারছি না। আমাদের গ্রামের কোনও বাসিন্দার নাকি বাইরের কারও, তা জানার জন্যই পুলিশের তদন্ত দাবি করেছি।’’

তমলুকের এসডিপিও সুরজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘ওটা মানুষের কঙ্কাল বলেই জানতে পেরেছি। তবে কঙ্কালটি কত বছরের পুরনো এবং তা পুরুষ না মহিলার, তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। অতীতে ওই এলাকায় কোনও শ্মশান বা কবর স্থান ছিল না, কি না তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তমলুক ছাড়াও আশেপাশের থানা এলাকায় কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Skull Bone Skeleton Contruction Work
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE