মায়ের হাতে মিষ্টিমুখ সোহম সারঙ্গির। নিজস্ব চিত্র
পরীক্ষা ভাল হয়েছিল। তাই ভাল ফলের ব্যাপারে আশাবাদীই ছিল সোহম সারঙ্গি।
এ বারের সিবিএসই পরীক্ষায় অন্যতম কৃতী সে। শনিবার প্রকাশিত হয়েছে সিবিএসই-র ফল। মেদিনীপুরের ডিএভি স্কুলের ছাত্র সোহম পেয়েছে ৯৭.৬ শতাংশ নম্বর। তার চোখে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন। সোহমের কথায়, “আমি বিজ্ঞানী হবো। ছোট থেকেই এই ইচ্ছে রয়েছে আমার।’’ স্কুলের টিচার-ইনচার্জ তিমিরকান্তি ষন্নিগ্রাহীর কথায়, “আমরা জানতাম ও ভাল ফল করবে। সকলেই খুশি।”
সোহমের বাড়ি মেদিনীপুর শহরের ডাকবাংলো রোডে। ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী। বাবা সৌম্যশঙ্কর সারঙ্গি পশ্চিম মেদিনীপুরের উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। মা তনুশ্রীদেবী গৃহবধূ। পড়াশোনার পাশাপাশি গান গাইতে ভালবাসে সোহম। আর অবসরের সঙ্গী গল্পের বই। সিবিএসই পরীক্ষায় ৫০০-র মধ্যে ৪৮৮ নম্বর পেয়েছে মেদিনীপুরের এই কৃতী ছাত্র। অঙ্কে পেয়েছে ১০০, জীববিদ্যায় ৯৮, রসায়নে ৯৮, পদার্থবিদ্যায় ৯৭ আর ইংরেজিতে ৯৫। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে পড়ার সুযোগ পেয়েছে সে। কেভিপিওয়াই স্কলারশিপও পেয়েছে। বাবা সৌম্যশঙ্করবাবুর কথায়, “আমরা ওকে কখনও চাপ দিইনি। শুরু থেকেই চেয়েছি, ওর যা ইচ্ছে তা নিয়ে পড়াশোনা করুক।’’ সোহম খেলা দেখতে ভালবাসে। ক্রি তবে সবথেকে পছন্দের গান। এ দিনও স্কুলে এসে সে গেয়েছে অরিজিৎ সিংহের গাওয়া, ‘মন মাঝি রে, বল না কোথায়, মন মাঝি রে, আয় ফিরে আয়’। স্কুলে তাকে শুভেচ্ছা জানান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সোহম মানছে, “স্কুল সব সময়ে পাশে থেকেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy