প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রা শেষে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল। শনিবার চন্দ্রকোনার ঝাঁকরার এই ঘটনায় বিজেপির তিন কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মীকে আটকও করেছে পুলিশ। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এ দিন চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের কুঁয়াপুর অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল। সকাল দশটায় স্থানীয় বালা গ্রাম থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। দেড় কিলোমিটার ঘুরে ঝাঁকরায় শেষ হয় ওই কর্মসূচি। এরপর ঝাঁকরা বাজারে পথসভাও হয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, মিছিল শেষ হওয়ার আগেই চন্দ্রকোনা-২পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হীরালাল ঘোষের গাড়ির চালক সান্তা আলির নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা ঝাঁকরা বাজারে বিজেপি নেতা রূপম মল্লিকের দোকানে হামলা চালায়। দোকানে বসে গল্প করছিলেন জনা তিনেক বিজেপি কর্মী। তাঁদেরও মারধর করা হয়। বিজেপি নেতা রূপম বলেন, “হঠাৎ হীরালাল ঘোষের লোকজন আমাদের উপর চড়াও হয়। লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়।”
লোকসভা ভোটের পর থেকেই ঝাঁকরা ও সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কিছুটা কোণঠাসা। স্থানীয় বান্দিপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি ভাল ফল করেছে। ঝাঁকরাতেও বিজেপির সংগঠনও বেশ মজবুত। ওই এলাকাতেই বাড়ি তৃণমূলের চন্দ্রকোনা-২ ব্লক নেতা হীরালাল ঘোষ, সৌগত দণ্ডপাটদের। দলের বিধায়ক ছায়া দোলইয়ের বাড়িও ওই এলাকাতেই। এই রাজনৈতিক বিন্যাসেই বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তেতে রয়েছে ঝাঁকরা।
বিজেপির চন্দ্রকোনা দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি রাজীব ঘোষের অভিযোগ, “হীরালাল ঘোষের আচরণে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। রাজনৈতিক ভাবেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে।” যদিও অভিযুক্ত হীরালালের দাবি, “আমি কাউকে মদত দিইনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ।” আর তৃণমূলের বিধায়ক তথা ব্লক সভাপতি ছায়া দোলইয়ের বক্তব্য, “একটা ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy