এর আগে দু’বার তিনি হেরেছেন দিব্যেন্দু অধিকারীর কাছে। ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কাঁথি আসনে পরাজিত হয়েছিলেন সিপিআইয়ের উত্তম প্রধান। এ বারও ওই আসনে বিধানসভা উপ-নির্বাচনে আবার তাঁকে প্রার্থী করেছে বামফ্রন্ট। মঙ্গলবার তমলুকে জেলা ফ্রন্টের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর নাম ঘোষণা হয়েছে।
ঠিক সে দিনই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী প্রাক্তন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও দলের মহিলা শাখার রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কাঁথিতে নন্দীগ্রাম শহীদ বেদিতে মালা দিয়ে ভোটের প্রচার করেন চন্দ্রিমাদেবী। দলের নেতারা তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে। কাঁথির ডরমেটরি ময়দানে প্রথম নির্বাচনী সভায় মহিলা কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ইতিমধ্যেই কাঁথি জুড়ে ব্যানার, পোস্টার, দেওয়াল লিখনের কাজ এগিয়ে রেখেছে তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচার চলছে জোর কদমে। ময়দানে বিরোধীদের চিহ্ন নেই। ওই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন, “আমরা সব সময় মানুষের সুখে দুঃখে থাকি। তাই আমাদের উত্তরপ্রদেশ দেখিয়ে ধমকানো, চমকানো যাবে না।’’
১৭ মার্চ সিপিএমের কাঁথি জোনাল কমিটির অফিসে বিধানসভা বামফ্রন্ট কমিটির বৈঠক হবে। ২০ মার্চ উত্তমবাবু মনোনয়ন জমা দেবেন। সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক চলছে। তাই প্রথমে বাড়ি বাড়ি প্রচার হবে। পরে সভা হবে।’’ কাঁথি শহরের বাসিন্দা উত্তম প্রধান ভগবানপুরের কলাবেড়িয়া পিকে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উত্তমবাবু দলের শিক্ষক সংগঠনের জেলা সম্পাদকও। গত বিধানসভা ভোটে দিব্যেন্দু অধিকারীর কাছে হেরেছিলেন তিনি। তমলুক লোকসভা উপ–নির্বাচনে দিব্যেন্দু জয়ী হওয়ায় দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা আসন শূন্য হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy