প্রাথমিক স্কুল প্রদর্শনী। নিজস্ব চিত্র
কেউ এঁকেছে ছবি, কেউ বা বানিয়েছে ফুলদানি— বর্ষশেষে পড়ুয়াদের হাতের কাজ নিয়ে প্রদর্শনী হল গড়বেতা-১ ব্লকের পাথরিশোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্কুলের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের লেখা, আঁকা নিয়ে প্রতি মাসে প্রকাশিত হয় দেওয়াল পত্রিকা ‘কচিপাতা’। সেই সঙ্গে প্রতি মাসে কিছু সৃজনমূলক কাজ করেও মাস্টারমশাইদের দেখায় পড়ুয়ারা। কেউ করে ফুলদানি, তো কেউ মাটির ফলমূল। ছাত্রছাত্রীদের প্রতিমাসের এই হাতের কাজ স্কুলেই জমা হয়।
এ বার সেই সব উপকরণ নিয়েই শুক্রবার স্কুল চত্বরে প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। প্রদর্শনীর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘পঠনমেলা।’ পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সঙ্গে গ্রামের মানুষকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
কী করে এল এই ভাবনা? প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় সামন্ত বলেন, ‘‘স্কুলে শিশু সংসদের মন্ত্রী পরিষদই প্রথম প্রস্তাব দেয়- সারা বছর ধরে ছাত্রছাত্রীরা যে হাতের কাজ করেছে তা যদি প্রদর্শনীর মতো করে তুলে ধরা হয় তাহলে সকলে দেখবেন। আমরা ছাত্রছাত্রীদেরকেই উদ্যোগী হতে বলি। এ ভাবেই আয়োজন হল।’’
সেই মতো স্কুলের বাৎসরিক পরীক্ষা শেষে ছাত্রছাত্রীরা নেমে পড়ে প্রদর্শনী আয়োজনের কাজে। ঠিক হয় স্কুল চত্বরে হবে প্রদর্শনী।শুক্রবার সকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের হাতের কাজের নমুনা তুলে ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী অনুশ্রী সিংহ, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী অস্মিতা মণ্ডল, সুসৃজা ঘোষ, অর্পণ ঘোষদের কেউ করেছে দেশলাই কাঠি দিয়ে কোলাজ, কেউ বা স্ট্র (পাইপ) দিয়ে ফুলদানি তৈরি করেছে। তাঁদের এই আঁকা আর দেওয়াল পত্রিকা দিয়েই সাজানো হয়েছিল প্রদর্শনী। খুদে পড়ুয়াদের প্রদর্শনী দেখতে ভিড় করেছিলেন পাথরিশোল, ময়রাকাটা-সহ আশেপাশের গ্রামের বহু মানুষ।
বিকাশ মণ্ডল, দেবকী মণ্ডল-সহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমাদের ঘরের ছেলেমেয়েরা স্কুলে লেখাপড়ার সাথে এই সব হাতের কাজও করে তা দেখে আমরা অভিভূত।’’
প্রদর্শনী দেখে খুশি হন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ঊষা সরেনও। প্রদর্শনী দেখতে এসেছিলেন স্থানীয় শিক্ষাবন্ধু তাপস ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘একরত্তি ছাত্রছাত্রীদের এই মুন্সিয়ানা তারিফ করার যোগ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy