Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

মোমো তদন্তে সিআইডি-নজর 

জানা গিয়েছে, জেলার কয়েকজনের মোবাইলে মোমো গেমের লিঙ্ক পেয়েছে পুলিশ। তারা সকলেই কিশোর কিংবা যুবক। জেলা পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, এই লিঙ্কগুলো সবই এসেছে হোয়াটসঅ্যাপে।

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে এমনই বার্তা। —নিজস্ব চিত্র।

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে এমনই বার্তা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:০৮
Share: Save:

ঘাটাল, কেশপুর, দাঁতন, নারায়ণগড়— মোমো তালিকায় রোজই জুড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক একটি এলাকার নাম। জেলার কয়েকজন যে এই মারণ গেম খেলতে শুরু করেছিল, তদন্তে নেমে সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। সব দিক দেখে মোমো তদন্তে সিআইডির সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছেন জেলা পুলিশের তদন্তকারীরা। জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া মানছেন, “সিআইডির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। কিছু বিষয় সিআইডিকে জানানো হয়েছে।’’

জানা গিয়েছে, জেলার কয়েকজনের মোবাইলে মোমো গেমের লিঙ্ক পেয়েছে পুলিশ। তারা সকলেই কিশোর কিংবা যুবক। জেলা পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, এই লিঙ্কগুলো সবই এসেছে হোয়াটসঅ্যাপে। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘লিঙ্ক কোথা থেকে এসেছে সিআইডি দেখছে। আমরা সিআইডিকে সব জানাচ্ছি। আমরা নিজেরাও দেখছি যতটা দেখা সম্ভব।’’ পুলিশের এক সূত্রে খবর, কেউ কেউ যেমন মোবাইলে মোমো লিঙ্ক আসার কথা মৌখিক ভাবে থানায় জানিয়েছে, কেউ কেউ আবার পুলিশের ই-মেলে তা জানিয়েছে।

পুলিশ সুপার মানছেন, “কেউ কেউ ই-মেলে জানিয়েছে। সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তবে জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, এ ক্ষেত্রে তদন্তে একটু সময় লাগবে।

জেলা পুলিশের এক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে অন্তত পাঁচ-ছ’টি থানা এলাকা থেকে মোমো লিঙ্ক আসার অভিযোগ এসেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, কেউ কেউ না বুঝেই লিঙ্ক খুলে মোমো গেম খেলতে শুরু করেছিল। কেশপুরের আনন্দপুরের ঘটনাটি তেমনই। গত সোমবার সন্ধ্যায় আনন্দপুরের সাহসপুর ঘোষাল হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র উজ্জ্বল বেরার মোবাইলে ভেসে ওঠে মোমোর ছবি। অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ আসে ‘আই অ্যাম মোমো’। সে গেম খেলতে চায় কি না জানতে চাওয়া হয়। সাধারণ অনলাইন গেম মনে করে সায় দেয় উজ্জ্বল। বেশ কিছুক্ষণ হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটও হয়। গেমে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রটি। পরে ভয় পেয়ে উজ্জ্বল এক পরিচিতকে সব জানায়। উজ্জ্বল নিজেও বলছে, ‘‘না বুঝেই গেম খেলতে শুরু করে দিয়েছিলাম।’’

সব দিক দেখে তদন্তের পাশাপাশি সব থানা এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারও শুরু করেছে পুলিশ। কেউ যাতে মজা মনে করে এমন মেসেজের প্রেরকের সঙ্গে চ্যাট করে বিপদ ডেকে না আনে সেই পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ। মোবাইলে মোমোর মেসেজ এলে ভয় না পেয়ে দ্রুত পুলিশকে জানানোর অনুরোধও করা হচ্ছে। মোমো গেম থেকে বাঁচার বার্তা দিয়ে স্কুলে স্কুলে সাঁটানো হচ্ছে পোস্টার, ছড়ানো হচ্ছে লিফলেট। জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে প্রচার করা হয়েছে। মাইকেও প্রচার চলবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “মানুষজনকে সতর্ক করা দরকার। বিশেষ করে অল্পবয়সীদের এবং তাদের অভিভাবকদের। তাই সচেতনতামূলক প্রচার শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE