Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Mobile Number

একই মোবাইল নম্বরে ১০ জনের ক্ষতিপূরণ

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও পানবরজের সরকারি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য পঞ্চায়েত অফিস ও ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন পদুমপুর- ১ পঞ্চায়েত এলাকার  বাসিন্দারা।

 পদুমপুরে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ পানচাষিদের।

পদুমপুরে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ পানচাষিদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক ও মারিশদা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২০ ০৩:৪৫
Share: Save:

আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত পান বরজের জন্য ক্ষতিপূরণ পেতে আবেদন করেও মেলেনি আর্থিক সাহায্য। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা থেকে বাদ পড়া ওই সব পানচাষিরা পঞ্চায়েত অফিসে ফের আবেদন জমা দিতে এসে বিক্ষোভ দেখালেন। শুক্রবার তমলুক ব্লকের পদুমপুর- ১ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে এই বিক্ষেোভ হয়। ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার পাশাপাশি একই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের ১০ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা ঢোকায় তা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। কাঁথি-৩ ব্লকে তৃণমূল পরিচালিত ভাজাচাউলি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও পানবরজের সরকারি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য পঞ্চায়েত অফিস ও ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন পদুমপুর- ১ পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু ক্ষতিপূরণপ্রাপক তালিকায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান-সহ দলের নেতা ও তাঁদের আত্মীয়দের নাম থাকা নিয়ে স্বজন-পোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রশাসনের তরফে তদন্ত করে ক্ষতিপূরণ প্রাপকের তালিকা তৈরি করে সরকারি অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু এলাকার পানচাষিদের একাংশের অভিযোগ, আমপানে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ক্ষতিপূরণ মেলেনি। ওই পানচাষিদের দাবি, যাঁরা ক্ষতিপূরণ পাননি তাঁদের এ দিন পঞ্চায়েত অফিসে আবেদন জমা নেওয়া হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু আবেদন জমা নেওয়া হলেও তার প্রমাণ হিসাবে কোনও নথি দেওয়া হয়নি। এর ফলে আবেদন জমা দেওয়ার কোনও প্রমাণ থাকবে না বলে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু মাইতির দাবি, ‘‘পান চাষিদের কাছ থেকে এদিন আবেদন জমা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়নি। তা সত্ত্বেও অনেকে আবেদন জমা দিয়েছেন। আবেদনা জমা নিয়ে কোনও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি।’’

কাঁথি-৩ ব্লকের ভাজাচাউলি পঞ্চায়েতের ঘটনায় দেখা গিয়েছে, ক্ষতিপূরণ প্রাপকের তালিকায় নাম রয়েছে এমন ১০ জনের মোবাইল নম্বর একই। ওই ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের বাড়ি আলাদা গ্রামে বলে জানা গিয়েছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আগে পঞ্চায়ত এবং ব্লক প্রশাসনের তরফে তদন্ত হলেও কী ভাবে এমন ত্রুটি হল তা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির কাঁথি জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘ক্ষতিপূরণের টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ঢোকার আগে মোবাইলে মেসেজ আসে। এ ক্ষেত্রে যে মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে সেখানে প্রথমে প্রাপকদের টাকা ঢোকার বিষয়টি জানা গিয়েছে। তার সূত্র ধরে ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের কাছ থেকে পরোক্ষে ঘুষ নেওয়া হয়।’’

যদিও কোনও বেনিয়ম হয়নি বলে দাবি শাসক দলের। কাঁথি-৩ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নন্দদুলাল মাইতি বলেন, ‘‘প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কিনা যাচাই করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। একই মোবাইল নম্বর থাকার বিষয়টি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক হচ্ছে।’’

এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য একাধিকবার ফোন করা হয় কাঁথি -৩ এর বিডিও নেহাল আহমেদকে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mobile Number Tamluk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE