তদন্ত: তেল-কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ইন্ডিয়ান অয়েলের আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র
হলদিয়া গেটের কাছে জামতলা এলাকায় ফের হলদিয়া– বারাউনি ক্রুড অয়েল পাইপ লাইনে ফুটো করে তেল চুরির চেষ্টার অভিযোগ উঠল।
রবিবার গভীর রাতের এই ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে কয়েক হাজার লিটার ক্রুড অয়েল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ ও ইন্ডিয়ান অয়েল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে ইন্ডিয়ান অয়েলের নিরাপত্তা রক্ষীরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাটির গভীরে প্রায় দশ ফুট গর্ত করা হয়েছে। এবং সেই গর্তে একটি ভালভ লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে পড়ে যাওয়া তেল তুলে নেওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের অনুমান, কয়েক হাজার লিটার ক্রুড ওয়েল বের করে নেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান অয়েল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাইপ লাইন মেরামতির জন্য আপাতত হলদিয়া–বারাউনি ক্রুড অয়েল পাইপ লাইনেতেল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ এই এলাকায় তেল বের করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময়ও অনেক পরিমাণ তেল অপচয় হয়েছিল। হলদিয়া মহকুমা পুলিশের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষ গাফিলতির আঙুল তুলেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ সক্রিয় হলে তেল চুরির এই চক্র এত সাহস পেত না। পুলিশের দাবি, যে এলাকায় ঘটনা ঘটছে সেখানে বর্তমানে পাইপ লাইনের কাজ চলছে। ফলে ইন্ডিয়ান অয়েলের নিজস্ব রক্ষী এবং কর্মরত শ্রমিক রয়েছেন। তারপরও কেন এমন ঘটনা ঘটছে, সেটাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
হলদিয়া পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘ইন্ডিয়ান অয়েল-সহ বিভিন্ন রাসায়নিক কারখানার পাইপলাইনের নিচেই ঝুপড়ি করে রয়েছেন অনেক মানুষ। সেক্ষেত্রে বড় আগুন লাগলে সামাল দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।’’ সেই নিরিখে বারবার তেলের পাইপ ফুটো হয়ে হাজার হাজার লিটার তেল বেরিয়ে আসা বিপজ্জনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy