Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কিশোরী খুনে কাঠগড়ায় বাবা

অরিষার মা রেবতী দাসের অভিযোগ, মেয়েকে খুন করেছে তার বাবা। এ দিকে, খুনের অভিযোগ দায়ের করতে গেলে সুতাহাটা থানা তাঁকে ফিরিয়ে দেয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। রেবতীদেবীর দাবি অবশ্য অস্বীকার করেছে থানা।

অরিষা দাস। নিজস্ব চিত্র

অরিষা দাস। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৩৪
Share: Save:

এক ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধল হলদিয়ায়। সোমবার চৈতন্যপুরের বাবার বাড়ি থেকে দোরো কৃষ্ণনগর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী অরিষা দাস (১৫)-এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অরিষার মা রেবতী দাসের অভিযোগ, মেয়েকে খুন করেছে তার বাবা। এ দিকে, খুনের অভিযোগ দায়ের করতে গেলে সুতাহাটা থানা তাঁকে ফিরিয়ে দেয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। রেবতীদেবীর দাবি অবশ্য অস্বীকার করেছে থানা। শেষ পর্যন্ত সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

এ দিকে, স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা রেবতীদেবীকে নিয়ে যান সুতাহাটার বিডিও সঞ্জয় শিকদারের কাছে। সেখানেও লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। রেবতীদেবীর বক্তব্য, তড়িঘড়ি মেয়ের দেহ দাহ করে দেওয়া হচ্ছে। দাহ বন্ধ রেখে তদন্ত করা হোক। তাঁর কথায়, “মেয়েকে খুন করেছে ওর বাবা। এটা পূর্ব পরিকল্পিত। বাবার কাছে থাকলে টিউশনে যেতে সুবিধে হতো, তাই মাঝে মধ্যে ও সেখানে যেত। রবিবারও কথা হয়েছিল। সোমবার সকালে ফোন করে পাইনি। পরে খবরটা পাই।” সঞ্জয়বাবু পুরো ঘটনাটি জানান হলদিয়ার এসডিও পূর্ণেন্দু নস্করকে। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, “আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আসায় আমি থানাকে অভিযোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছি।”

স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবা-মায়ের মধ্যে বনিবনা না থাকায় মা রেবতীদেবীর সঙ্গেই থাকত অরিষা, তাঁর বোন ও ভাই। রেবতীদেবী থাকতেন বাপের বাড়িতে, মোহনপুরে। বাবা সুদর্শন দাস বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন চৈতন্যপুরে। সেখানে এক মহিলার সঙ্গে তিনি থাকতেন বলে রেবতীদেবীর দাবি। মেয়েরা মাঝে মাঝে বাবার কাছে এসে থাকত। রবিবার চৈতন্যপুরে বাবার কাছে আসে অরিষা। পরদিনই খবর আসে ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর। রেবতীদেবীর অভিযোগ, সুদর্শনই খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে মেয়েকে। সুদর্শনের প্রতিবেশীরা জানান, বিউটিপার্লার যাবে বলে বায়না করেছিল অরিষা। তাকে বাধা দিতেই অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে সে। তবে তার মামাবাড়ি মোহনপুরের ক্লাব সদস্যদের দাবি, মেধাবী ছাত্রী অরিষা নাচ-গান-আবৃত্তিতে ভাল ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা বরুণ দাসের মতে, “অরিষা কোনও ভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। তদন্ত করা হোক।

যদিও সুদর্শনের দাবি, “আমি নির্দোষ। গত ১৬ বছর ধরে স্ত্রীর সঙ্গে আমার বনিবনা নেই। তাই আমার নামে অভিযোগ করছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Unnatural Death Father Daughter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE